প্রতীকী ছবি।
হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাঠে নামাল টিএমসিপি। ওই ছাত্রীরা অবশ্য প্রত্যেকেই সংগঠনের কর্মী। প্রাক্তন ছাত্রীদেরও শামিল করা হয়েছে। কোচবিহার জেলা টিএমসিপির ফেসবুক পেজ থেকে এক-দু’দিন পরপর একজন করে ছাত্রী অনলাইনে আসছেন। সেখানে হাথরসের ঘটনা নিয়ে তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদের কথা তুলে ধরছেন। ওই ‘লাইভে’ এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদিকা নাফিসা আহমেদ। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ওই ছাত্রী বলেন, “ওই ঘটনা আমাদের মেয়েদের আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে। এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমরা যেমন ভাবে পারি, সেই চেষ্টাই করছি।”
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। তৃণমূলের খাসতালুক বলে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত কোচবিহার। সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করতে কোমর বেঁধে নেমেছে তারা। তাই হাথরসের ঘটনা কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইছে না তারা। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনটি এখন মনে করছে, এই ঘটনার ছাপ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক ভাবে পড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এই বয়সের মেয়েদের দিয়ে প্রচার করলে তাতে আরও সাড়া পড়বে। বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজের ছাত্রী অনন্যা সাহা জেলা টিএমসিপির পেজ থেকে ফেসবুক লাইভে এসেছেন। টিএমসিপি সদস্য অনন্যা লাইভে বলেন, “আমরা মায়ের পুজো করি। দুর্গাপুজো করি। কিন্তু মা তো সুরক্ষিত নয়। সবাই মিলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে।”
তৃণমূলের একটা অংশের আশঙ্কা, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটি অংশ ঝুঁকে রয়েছে বিজেপির দিকে। বিজেপির ছাত্র সংগঠন কলেজগুলিতে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে কাজ করছে। এই সময়ে হাথরসের ঘটনা সাড়া ফেলেছে দেশ জুড়েই। এই রাজ্যেও প্রতিবাদে শামিল বহু মানুষ। তার মধ্যে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা রয়েছে। এই প্রতিবাদের স্বরকেই আরও জোরালো করতেই টিএমসিপি নেমে পড়েছে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী এ দিন বলেন, “তৃণমূলের অপশাসনে রাজ্যের মানুষ ক্ষুব্ধ। চোখ ঘুরিয়ে দিতেই উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে হইচই করছে তৃণমূল।’’