পর্যটকদের গাইড হিসাবে কাজের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। রবিবার নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত জাতীয়তাবাদী পর্যটক সহায়ক ইউনিয়ন এবং রিকশা, ভ্যান চালক ইউনিয়নের স্থানীয় শাখার দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।
তাঁর কথায়, এনজেপি স্টেশনকে কেন্দ্র করে প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম ওই স্টেশনে কয়েক লক্ষ পর্যটক আনাগোনা করেন। এনজেপি স্টেশন হয়ে তাঁদের একাংশ নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। পাহাড়ে বা ডুয়ার্সে ঘুরতে যান। তেমনই বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়েও পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ফুলবাড়ি এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হতে চলেছে। সে কারণে একে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের গাইড হিসাবে কাজ করার সুয়োগ বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সমস্ত সুযোগ থাকার জন্য গাইডের কাজের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের সহায়তা কেন্দ্র করে সেখানে কাজের জন্য গাইডের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। স্বনিযুক্তি প্রকল্পে ওই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’’ তাতে পর্যটক সহায়ক ইউনিয়নের সদস্যরাও উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
হাতের কাজ-সহ বাংলায় তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ‘ব্র্যান্ড’ হিসাবে তুলে ধরতে বিশ্ব-বাংলা শো-রুম চালু হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরে।
ইতিমধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে তা চালু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বড় জায়গা নিয়ে এ ধরনের কাউন্টার চালুর করতে সচেষ্ট হব।’’ এনজিপিতে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের জায়গা নিয়ে এ ধরনের শো রুম করার ইচ্ছের কথা জানান তিনি।
এ দিন ওই সভায় বৃহন্নলাদের একটি সংগঠনের তরফে নেপালে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত বাসিন্দাদের সাহায্যার্থে ৫৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে ওই টাকা দেওয়া হচ্ছে।
কাজল কেন্নাক, কালী কেন্নাক, রহিমা কেন্নাকরা জানান, দুই দিন ধরে তারা সাহায্যার্থে ওই টাকা সংগ্রহ করেছেন। তবে প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে পাঁচ দিন ধরে অর্থ সংগ্রহের অভিযান করার কথা ঠিক হলেও তা করা যায়নি বলে জানান কাজল, রহিমারা।