হাতিকে ধাক্কা ট্রেনের

এ দিন হাতিকে ধাক্কা মারার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। নিউ মাল জংশন থেকে অন্য ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে ক্যারন স্টেশনে নিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নাগরাকাটা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

কাতর: ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি। নিজস্ব চিত্র

ডুয়ার্সের জঙ্গল চিরে যাওয়া রেলপথে ফের ট্রেন ধাক্কা মারল বুনো হাতিকে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের ক্যারন ও বানারহাট স্টেশনের মাঝে ডায়নার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়।

Advertisement

রেল ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুবুরিগামী আপ ইন্টারসিটি ট্রেনের সঙ্গে এ দিন একটি মাকনা হাতির ধাক্কা লাগে। চালক দ্রুত ব্রেক কষেও সংঘর্ষ ঠেকাতে পারেন নি। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় হাতিটি। পিছনের বা পা, শুঁড় এবং পিঠ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। ট্রেনের ইঞ্জিনটি তুবড়ে যায়। বিকট শব্দ করে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে ইঞ্জিন থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরেই বানারহাটগামী জাতীয় সড়ক গিয়েছে। সেখান থেকেও মানুষজন এসে ঘটনাস্থলে ভিড়ও জমান।

যন্ত্রণাকাতর হাতিটির ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। কোনও রকমে রেল লাইন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ধরণীপুর চা বাগানে ঢুকে পড়ে দাঁতাল। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ থেকে বনাধিকারিক এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বন্যপ্রাণ চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডলের উপস্থিতিতে জখম হাতির চিকিৎসা শুরু হয়। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিকিৎসার পর ফের জ্ঞানও চলে আসে হাতিটির। বেলা ৩টে নাগাদ ডায়নার জঙ্গলে ফেরে মাকনা।

Advertisement

গত দু’মাসে পাঁচবার হাতিকে ট্রেন লাইনে দেখতে পেয়ে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দিয়ে রেলের তরফে হাতির প্রাণ বাঁচাবার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন ফের ট্রেনের সঙ্গে হাতির সংঘর্ষ হওয়ায় ফের পরিবেশকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে রেল। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা বন ও রেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকেই এ দিন ফের দায়ী করেন। তবে রেলের তরফে আলিপুরদুয়ার রেল বিভাগের ডিআরএম কে এস জৈন বলেন, “আমাদের চালকেরা সব সময় সজাগ থাকলেও এ দিন হাতি খুব কাছে আচমকা চলে আসায় সংঘর্ষ ঠেকানো যায় নি।”

এ দিন হাতিকে ধাক্কা মারার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। নিউ মাল জংশন থেকে অন্য ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে ক্যারন স্টেশনে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাশেই সড়ক থাকায় যাত্রীদের অনেকে সেখান থেকে যানবাহন ধরেন। অনেকে ক্যারন স্টেশন থেকে পরের ট্রেন ধরেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement