পাহাড়ি পথে ট্রয় ট্রেন। —ফাইল ছবি
বৃষ্টি, পাহাড়ে ধস সব মিলিয়ে দু’মাস বন্ধ ছিল টয় ট্রেন। তারপরে লাইন মেরামত করে একাধিকবার পরীক্ষামূলক ভাবে চালানোর পরে শুক্রবার থেকে যাত্রীদের জন্য চালু করা হল টয় ট্রেন। কিন্তু প্রথম দিনেই শিলিগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়তে দেরি হল প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। তার উপর এ দিন মোট আসনের অর্ধেকের বেশি ফাঁকা ছিল।
এ দিন শিলিগুড়ি জংশন থেকে বেরিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিন লোকোশেডের কাছে দীর্ঘ সময় আটকে পড়ে। দেরির জন্য রেল কর্তাদের তরফে নানারকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টয় ট্রেন চালু হতে দেরি হওয়ায় বিরক্ত বেশ কয়েকজন পর্যটক। রাজস্থান থেকে দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলেন মনোহর বিষ্ণোই এবং তাঁর পরিবার। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দেরিতে পুরো দিন নষ্ট হয়ে গেল।’’ ট্রেন দার্জিলিঙে ঢুকতে অনেকটাই দেরি হয় এ দিন। তার জেরে মনখারাপ অনেক যাত্রীরই।
কিন্তু কেন হল এরকম? রেলকর্তারা জানান, ইঞ্জিনগুলো বসে ছিল অনেকদিন। তাই প্রাথমিকভাবে পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা ছিল। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের এনজেপির এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এ দিন অসুবিধা ছিল। আমরা চেষ্টা করছি, সঠিক সময়ে ট্রেন চালাতে।’’
এ দিন প্রথম শ্রেণিতে ৩৫টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছে মাত্র ১৭টি। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ারকারে ১৫টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছে ৫টি। পর্যটন ব্যবসায়ীদের অনেকের ধারণা, বার বার ট্রেন বন্ধের নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার জেরে আশঙ্কায় অনেক পর্যটক আগেভাগে বুকিং বাতিল করেছেন। যদিও রেলকর্তাদের আশা, পুজোর ছুটি শুরু হলে ভিড় বাড়তে থাকবে ক্রমশ।