ভোট প্রচারে রাস্তায় নেমেছিলেন উদয়ম গুহ। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বার্তা, ‘‘ভয় পাবেন না। নিজের ভোট নিজে দেবেন। বিজেপি জিতলেই ফিরবে শান্তি।’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলছেন, ‘‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিন। গুলি-বোমা-বন্দুকের রাজনীতির অবসান মাথায় রেখে ভোট দিন।’’
রাত পোহালেই ভোট। তার আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট প্রচার শেষ হল। শেষ দিনে ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে খামতি রাখেনি শাসক, বিরোধী শিবির। পথে নেমেছিলেন দু’দলের দুই দাপুটে নেতা। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বিজেপি সাংসদ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এ দিন দু’জনেই গিয়েছিলেন দিনহাটার শালমারায়। সকালে সেখানে যান উদয়ন। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বড় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেননি। নিশীথ অবশ্য জনসংযোগ করেন। শালমারা থেকে আটিয়াবাড়ি-সহ একাধিক এলাকায় যান।
উদয়নের দাবি, ‘‘আমরা মানুষের সঙ্গে সারা বছর থাকি। মানুষ সব মনে রেখেছেন। সব আসনেই জিতব আমরা।’’ নিশীথের কথায়, ‘‘সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। মানুষই তার বিচার করবেন।’’
প্রচারের শেষ দিন সকাল থেকেই বুথে বুথে প্রচার শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ জেলা পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এ দিন হুডখোলা জিপে গুড়িয়াহাটিতে রোড শো করেন। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মারুগঞ্জে সভা করেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় একাধিক প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিকেলে অভিজিৎ সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের কাছে আবেদন রাখেন। তিনি দাবি করেন, জেলার সব আসনেই জিততে চলেছেন তাঁরা।
পিছিয়ে ছিল না বিজেপি। দলের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, সুকুমার রায় থেকে শুরু করে দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা দাবি করেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া, তৃণমূল দাপিয়ে বেড়িয়েছে একাধিক এলাকায়। প্রচারের নামে কোথাও বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছে। মালতী বলেন, ‘‘বহু জায়গায় আমাদের প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ বিনা অনুমতিতেই বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে শাসক দল। জিতেই যখন যাবে তখন আমাদের নিয়ে এত ভয় কেন।’’
তুফানগঞ্জ ১ ব্লক (ক) তৃণমূল সভাপতি মনোজ বর্মণ বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে প্রচার করেছি।’’ বাম নেতা তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় জানান, জেলার সর্বত্র এ দিন প্রচার করেছেন বাম প্রার্থীরা।