TMC

Balurghat TMC: উত্তেজনা নেই বর্ষীয়ান বিপ্লবের

বালুরঘাটে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে শহরের অফিসপাড়া বলে পরিচিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিপ্লববাবু। শেষ বেলায় টিকিট পান ৭২ বছরের বিপ্লব খাঁ।

Advertisement

অনুপরতন মোহান্ত

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৮
Share:

সৈনিক: কার্যালয়ে বিপ্লব খাঁ। বালুরঘাটে রবিবার। নিজস্ব চিত্র

রবিবারের ভরদুপুর। আত্রেয়ী নদীর জলের মতো স্থির হয়ে শহরের চকভবানী এলাকায় দলের নির্বাচনী কার্যালয়ে গা এলিয়ে বসে ছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ প্রার্থী বিপ্লব খাঁ। সঙ্গে জনা তিনেক দলীয় কর্মী। বালুরঘাটে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে শহরের অফিসপাড়া বলে পরিচিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিপ্লববাবু। এ বারে তৃণমূলের প্রথম তালিকায় এলাকার দীর্ঘদিনের মহিলা কর্মী পূর্ণিমা দাসকে প্রার্থী করা হয়েছিল। শেষ বেলায় পূর্ণিমার নাম কাটা পড়ে। টিকিট পান ৭২ বছরের বিপ্লব খাঁ। যা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তা সামলে, বিপ্লবকে লড়তে হচ্ছে বিজেপি এবং সিপিএমের দুই তরুণ প্রার্থীর সঙ্গে।

Advertisement

আত্রেয়ী নদীর ওপারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব খাঁ, এ পারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। বালুরঘাট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিপ্লবের কাজের সঙ্গে এলাকাবাসী ওয়াকিবহাল। দলের কর্মীরা বলেন, এই আসনে সহজ লড়াই ‘বিপ্লব জেঠু’র। সকলেই তাঁকে এই নামে এক ডাকে চেনেন। বালুরঘাটে চেয়ারম্যান পদের দাবিদার হিসেবে তিনি-ই এগিয়ে, দাবি ‘জেঠু’র অনুগামীদের।

টেনশন মুক্ত বিপ্লব অবশ্য বলেন, “দল প্রার্থী করেছে। চেয়ারম্যান দলই ঠিক করবে। কোনও উত্তেজনা নেই।’’ চেয়ারে হেলান দিয়ে ফের বললেন, ‘‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি। বিভিন্ন উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ঘরে ঘরে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছি। কাকে জেতালে এলাকার উন্নয়ন হবে মানুষ জানেন।’’

Advertisement

রেড ভল্যান্টিয়ারের সক্রিয় সদস্য, পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ৩২ বছরের ধীরাজ বসু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যক্তি নয় মতাদর্শের ভিত্তিতে লড়াই করছি। গত তৃণমূল পুরবোর্ডের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ প্রচারে তুলে ধরছি। তা ছাড়া বিপ্লববাবু বহিরাগত প্রার্থী।’’ ১৯৬৪ সাল থেকে এই ওয়ার্ডটি বামেদের দখলে রয়েছে, সে কথাও ধীরাজ মনে করিয়ে দেন।

গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডে বিজেপি যথাক্রমে ৫৮৭ ও ৩৫০ ভোটে এগিয়ে ছিল। যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্তকে বিজেপি ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে। বছর তিরিশের অভিষেক বললেন, ‘‘বিপ্লববাবু পিতৃতুল্য। তাঁকে শ্রদ্ধা করি।’’

বাম আমলে বালুরঘাটে দু’বার বিধানসভা ভোটে লড়ে পরাজিত হন বিপ্লব। বর্ষীয়ান নেতা বললেন, ‘‘আমি উপলক্ষ মাত্র। দলের কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। বরো কমিটির ধাঁচে টিম গড়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement