—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কমসূচি ঘিরে অসন্তোষের কথা জানিয়েছিল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। দু’দিন আগে ওই কর্মসূচি বন্ধের দাবি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিতের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এমনকি, তা না হলে তারা ওই কর্মসূচি হতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। শুক্রবার অবশ্য ওই কর্মসূচিতে কোনও বাধা দেয়নি টিএমসিপি। কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শনও হয়নি। তবে সমালোচনা পিছু
ছাড়েনি শ্রিংলার।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার হলে ‘ইন্ডিয়াজ় গ্লোবাল এনগেজমেন্ট’ বিষয়ক আলোচনায় বিশেষ বক্তব্য রাখার আগে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার পরিচয় পর্ব হিসাবে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। নেপথ্য কণ্ঠ না থাকলেও, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে তিনি লোকসভা নির্বাচনে, দার্জিলিং জেলায় দলের প্রার্থী হতে নিজের প্রচার করছেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে টিএমসিপি। টিএমসিপি-র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষ মিঠুন বৈশ্য বলেন, ‘‘রাষ্ট্র বিজ্ঞানের পড়ুয়ারা ছাড়া, সে ভাবে কেউ ওই বক্তব্য শুনতে যাননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি বারবার দেখিয়ে কী জাহির করার চেষ্টা করছেন? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তিনি এ সব করছেন। আমরা তাঁকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই। সে কারণে কোনও রকম বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়নি।’’ হর্ষবর্ধন শ্রিংলা অবশ্য বলেন, ‘‘ওঁদের যদি মনে হয় এটা রাজনৈতিক, সেটা ওদেরই ভাবা দরকার। আমি যা বলেছি, তা সকলে শুনেছেন। পড়ুয়ারা এখানে শিখতে আসেন। শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞেরা আসেন। তেমন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সফল হবে? শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকা দরকার।’’
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি ছাড়াও, তিনি নানা ভাবে জনসংযোগ করেন। লোকসভা ভোটে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই তাঁর সে সব কর্মসূচি কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সে প্রসঙ্গে অবশ্য কিছু বলতে চাননি শ্রিংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিনের কর্মসূচি নিয়ে জানান, সেখান থেকে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। এখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে, কথা বলে তাঁর ভাল লেগেছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিষয়ে, শিলিগুড়ির গুরুত্ব তাঁদের বলেছেন। পড়ুয়ারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। য়থাযথ ভাবে ‘গাইড’ করা হলে, উৎসাহ দিয়ে প্রশিক্ষণ দিলে পড়ুয়ারা সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রিংলা।