TMC Worker death

বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীকে ছুরি, মৃত বলে ঘোষণা হাসপাতালে, উত্তর দিনাজপুরে উত্তেজনা

মৃত তৃণমূল কর্মীর শ্বশুর তৃণমূলেরই নেতা। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি শ্বশুরের জন্য কাজ করেছিলেন। তার পর থেকেই শাসকদলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ইটাহার শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১৪
Share:

ইটাহারে মৃত তৃণমূল কর্মী তন্ময় সরকার। — ফাইল ছবি।

বচসার জেরে ছুরিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অন্তর্গত ইটাহার থানার ফতেপুরে। তাঁকে কেন কেউ ছুরি মারবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে এলাকায়। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কি না।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির শ্বশুর তৃণমূলের নেতা। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি শ্বশুরের জন্য কাজ করেছিলেন। তার পর থেকেই শাসকদলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম তন্ময় সরকার। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানার দেওখণ্ডা গ্রামে। শ্বশুরবাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার কুশমন্ডি থেকে ইটাহার এসেছিলেন তন্ময়। আহতের শ্বশুর এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা দেবকুমার সরকার বলেন, ‘‘আমার জামাই সাহাভিটা এলাকায় আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিল। সেখানে এলাকার কিছু যুবকের সঙ্গে তন্ময়ের বচসা হয়। তবে বিষয়টি শান্ত ছিল। কিন্তু হঠাৎ শুনছি কয়েক জন আমার জামাইকে ফলেপুর এলাকায় আটকে মারধোর করছে। চাকু মেরেছে। ইটাহার থানার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, তন্ময়ের পিঠের নীচে ছুরির আঘাত লেগেছিল। ক্ষত এতটাই গভীর ছিল যে ফুসফুস ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর পর চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।

Advertisement

খবর পেয়ে ফতেপুর সহ সাহাভিটা এলাকায় যায় ইটাহার থানার পুলিশ। পুলিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে বচসার জেরেই এই ঘটনা। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে ছুরি চালানোর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। মঙ্গলবার রাতে এ ভাবে এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরি মারার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে ইটাহার থানার পুলিশবাহিনী। পরিবার ইটাহার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement