—প্রতীকী ছবি।
সার্কিট বেঞ্চের দ্রুত উদ্বোধনের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। আগামী রবিবার থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান শুরু হবে। সেদিন ওই বিক্ষোভ মঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর থাকার কথা।
শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতারা উত্তরকন্যায় গিয়েছিলেন। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে দল সূত্রের খবর। এর আগে গত ডিসেম্বরেও সার্কিট বেঞ্চের স্থানীয় ভবনের উদ্বোধন চেয়ে টানা অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়েছিল তৃণমূল। কিছুদিন পরে অবস্থান আন্দোলন স্থগিত রাখে তৃণমূল।
দীর্ঘ দিন ধরেই জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ করার কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে টানাটানি চলছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভা থেকে দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার বেঞ্চের সব পরিকাঠামো তৈরি করে দিলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনীতি করে উদ্বোধন আটকে রেখেছে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন আটকে যাওয়া নিয়ে রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বেঞ্চ উদ্বোধনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আর রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন থমকে রয়েছে।
শুক্রবার জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে সরাসরি রাজনীতি করছে। এ ধরনের অন্যায় জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা মানবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বেঞ্চ উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করতে বাধ্য হয় তার জন্য আমরা লাগাতার অবস্থান চালাব।” জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অবস্থান হবে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি জলপাইগুড়ি মানুষের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করছে। মানুষ জবাব দেবে।”
কেন্দ্রীয় সরকার বেঞ্চ নিয়ে কোনও ঘোষণা করলে জলপাইগুড়িবাসীর আবেগ গেরুয়া শিবির কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে এই ভেবেই তৃণমূল পাল্টা অবস্থানের কৌশল নিচ্ছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী বেঞ্চ নিয়ে কিছু ঘোষণা করলে ওরা বলবে তৃণমূলের অবস্থানের চাপে পড়ে করা হল। সে কথা কেউ বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না। তৃণমূল ভাবলেও মানুষ অতটা বোকা নয়।’’