tmc candidate

TMC: দাদা-দিদি ধরলেও প্রার্থী হওয়া যাবে না, তৃণমূলে বার্তা

দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠারেঠারে নেতানেত্রীদের যোগ্য প্রার্থী বাছাই থেকে বুথ স্তরের কর্মীদের ময়দানে নামানোর কথা বলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোনও দাদা বা দিদি ধরার বিষয় নেই, একাধিক তালিকারও প্রশ্ন নেই। একেবারে অঞ্চল স্তরে বুথ কমিগুলিকে নিয়ে আলোচনা করে জেলা দায়িত্বপূর্ণ নেতাদের পরামর্শে তৈরি হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রার্থী তালিকা। শুক্রবার জেলা পার্টি অফিসে অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, ইন্দ্রনীল সেনদের মতো নেতাদের উপস্থিতিতে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। গোটা এপ্রিল মাসে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, মে মাসের শেষে বা জুনের গোড়ায় শিলিগুড়িতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠারেঠারে নেতানেত্রীদের যোগ্য প্রার্থী বাছাই থেকে বুথ স্তরের কর্মীদের ময়দানে নামানোর কথা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোনও অভিযোগ থাকলে স্থানীয় স্তরে মেটানোর নির্দেশ হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেতের পর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। আজ, শনিবার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে আরেক দফায় ভোট প্রস্তুতির বৈঠক করার কথা শিলিগুড়ি সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের।

দলের রাজ্য স্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘শিলিগুড়িতে সবাইকে একসঙ্গে থেকে ভোটটা করতে বলা হয়েছে। সবচেয়ে সমস্যা হয় প্রার্থী হওয়া নিয়ে। যোগ্যদেরই বাছাই করতে হবে। দাদা বা দিদির লোক বা অনুগামী বললে হবে না। রাজ্য থেকে সব নজরে রাখা হবে।’’ প্রার্থী চয়ন, বাছাই নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে দল তা খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে ওই নেতা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত পুরভোটে একাধিক প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অস্বস্তির পর নেত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে।’’

Advertisement

শিলিগুড়ির সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ গত বছরের মাঝখান থেকে কাজ শুরু করছেন। এর আগে গৌতম দেব, রঞ্জন সরকারেরা সভাপতি ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, ডানপন্থী দলে এলাকাভিত্তিক নেতানেত্রীর অনুগামী স্বাভাবিকভাবে থাকেন। তিনি যোগ্য হলে টিকিট পাবেন বলেই দলের নেতারা মনে করছেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকে-র টিমের রিপোর্ট এবং দলের অন্দরের বেশ কিছু খবর রয়েছে। তাতে স্পষ্ট, শিলিগুড়ি গ্রামীণ এলাকার মাটিগাড়া, নকশালবাড়িতে জমি কারবার, সিন্ডিকেট ব্যবসায় জড়িত কিছু লোক দলের সঙ্গে রয়েছে। এরা প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন। আবার ফাঁসিদেওয়া বা খড়িবাড়িতেও কম হলেও একই সমস্যা থেকে গিয়েছে। এদের বড় অংশকে বাদ দিয়েই প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে ভোটের আগে দলবদলুদের সকলেই যে টিকিট পাবেন না, তা মাথাটা রাখতে হবে জেলা নেতৃত্বকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement