ফাইল চিত্র।
বিজেপি যতই চাপ দিক, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে হাতিয়ার করেই নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নেমেছেন তৃণমূলের দুই নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও মিহির গোস্বামী। দিন কয়েক ধরেই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে মিটিং-মিছিল করছেন তাঁরা। বিজেপির দখলে যাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করছেন বলেও দাবি তাঁদের।
বৃহস্পতিবার চিলকিরহাটে বিধায়ক মিহিরবাবুর নেতৃত্বে মিছিল হয়। ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে এ দিন চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে যান মিহিরবাবু। তিনি বলেন, “বিজেপি ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাউকেই আটকে রাখতে পারেননি। সবাই তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।” সেই সঙ্গেই তিনি এ দিন কর্মীদের জানিয়ে দেন, যে কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের মিটিং-মিছিল করতে পারে। কিন্তু কেউ সন্ত্রাস করতে গেলে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
একই ভাবে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের একের পর এক এলাকায় দলের প্রভাব ফের বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবুও। এ দিন তিনি ডাউয়াগুড়িতে পরপর চারটি সভা করেন। সেখানে কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের হাতে ভিজিটিং কার্ড, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ স্টিকার এবং টি-শার্ট বিলি করেন। এ দিন বিকেলেই গুড়িয়াহাটিতেও একটি সভা করেন তিনি। মন্ত্রী জানান, এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলের ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য লিখিত ভাবে ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করে মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছিল। সেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব জায়গায় রুখে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।”
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে কোচবিহারে কোণঠাসা হয়ে পরেছিল তৃণমূল। ভোটে হেরে যাওয়ার পরে কার্যত বাড়িছাড়া হয়ে পড়েন গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা। জনসংযোগ যাত্রা ও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে নেমে সেই অবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করে তৃণমূল।
বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল পুলিশের মাধ্যমেই সন্ত্রাস তৈরি করেছে। কিছু দুষ্কৃতী জড়ো করে ভয় দেখাচ্ছেন।” পুলিশ, তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।