—ফাইল চিত্র।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি ব্লকে একটি করে কোর কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। একইসঙ্গে প্রতি অঞ্চলে একটি করে মনিটরিং কমিটি গড়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা।
এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তদারকির পাশাপাশি সাংগঠনিক বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবে দুই কমিটি। তবে জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তের জেরে নতুন এই দুই কমিটির সঙ্গে ব্লক কিংবা অঞ্চল কমিটির সংঘাত বাধতে পারে বলে এখন থেকেই আশঙ্কা করছে দলের একাংশ। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছেন দলের জেলা নেতারা।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে তৃণমূলের ভারাডুবির পর মোহন শর্মার বদলে মৃদুল গোস্বামীকে দলের জেলা সভাপতি করা হয়। এছাড়া, দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের শীর্ষ পদেও পরিবর্তন আনা হয়। সর্বোপরি, আলিপুরদুয়ারে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর মৃদুল বিভিন্ন ব্লক কমিটি ভেঙে দেন। তার বদলে সেখানে দল পরিচালনার জন্য নতুন একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়। যে কমিটির চেয়ারম্যান পদে একাধিক জায়গায় তাঁর মতোই পুরনো দিনের নেতাদের বসানো হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য মাদারিহাট ব্লকে দলের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একাধিক ব্লকে সভাপতির নাম ঘোষণা এখনও বাকি। সেগুলি দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তবে এবার ব্লকগুলিতে ব্লক কমিটির পাশাপাশি একটি করে কোর কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কোর কমিটি আবার সেই ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে মনিটরিং কমিটি তৈরি করবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই দুই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত বলে দলের নেতাদের দাবি। তৃণমূল সূত্রের খবর, সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় দেখার পাশাপাশি কোর কমিটি ও মনিটরিং কমিটির কাজ হবে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজগুলো নজরে রাখা।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, ব্লকগুলিতে ব্লক কমিটির পাশাপাশি কোর কমিটি ও অঞ্চলগুলিতে অঞ্চল কমিটির সঙ্গে মনিটরিং কমিটি গড়া হলে দুই ক্ষেত্রে দুই কমিটির মধ্যে নানা বিষয়ে সংঘাতের সম্ভাবনা থাকবে। যদিও তা মানতে রাজি নন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। মৃদুলের সাফ কথা, “সাংগঠনিক ও উন্নয়নের কাজে আমরা আরও বেশি করে মানুষকে যুক্ত করতে চাই। সেজন্যই ব্লকে কোর কমিটি ও অঞ্চলে মনিটরিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত। আর ব্লকগুলিতে ব্লক কমিটি ও কোর কমিটির কী কাজ হবে কিংবা অঞ্চলগুলিতে অঞ্চল কমিটি বা মনিটরিং কমিটির কাজ কী হবে, তা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা দেওয়া হবে। ফলে সংঘাতের কোন প্রশ্নই ওঠে না।”