চাইলেই আর সম্ভব না রাজ্যের শাসকদলে নাম লেখানো৷
দলে নতুন কর্মীদের যোগদানে কঠোর হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলে বেনোজল ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত৷ দলের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব৷
তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বার থেকে অন্য কোনও দল থেকে কোনও নেতা বা কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রথমে ব্লক নেতৃত্বর থেকে অনুমতি নিতে হবে ৷ ব্লক নেতৃত্ব এরপর অনুমতি চাইবে জেলা নেতৃত্বের কাছে৷ সব কিছু ঠিক ঠাক বুঝে জেলা নেতৃত্ব তাতে সায় দিলে, তবেই নতুন সেই কর্মী বা নেতাকে দলে নেওয়া হবে৷
রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর থেকেই বিভিন্ন জেলার মতোই জলপাইগুড়িতেও দল বদলের হিড়িক লক্ষ্য করা যায়৷ বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের পাশাপাশি কংগ্রেস থেকেও অনেক নেতা-কর্মী তৃণমূলে নাম লেখান। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর জেলায় শাসকদলে বিরোধীদের যোগদানে হিড়িকটা যেন খানিকটা বেড়েই গেছে৷ কিন্তু এর মধ্য দিয়ে দলে যাতে বেনোজল ঢুকে পড়তে না পারে, তাই দলের এই সিদ্ধান্ত বলে জেলা শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন৷
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “বিরোধী দল থেকে যে হারে নেতা-কর্মীরা আমাদের দলে আসতে চাইছেন, তাতে করে বেনোজল ঢুকে পড়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷ তাই জেলার সব নেতাদেরই বলা হয়েছে, বিরোধীরা কেউ তৃণমূলে নাম লেখাতে চাইলে তাঁরা যেন দলের ব্লক কমিটিকে জানায়৷ ব্লক কমিটির কাজ হবে সেটা জেলা কমিটিকে জানানো৷ জেলা কমিটি সবটা বিচার করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে৷ এবং সেই সিদ্ধান্ত ব্লক কমিটিকে জানিয়ে দেবে৷”
তবে শুধু দলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতাই নয়৷ তৃণমূলের রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা এবং জলপাইগুড়িতে যথেষ্ট ভাল ফলের পর দলের জেলা কমিটিতেও খুব শীঘ্রই কিছু পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌরভবাবু৷ তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই পরিবর্তনগুলি করা হবে৷ একই সঙ্গে দলের শাখা সংগঠনের নেতৃত্বেও যে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি৷
এ দিকে জেলা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতারাও সংগঠনে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ সংগঠনে জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, কাজের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আনা হবে৷