প্রতীকী ছবি।
এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি ফালাকাটা উপনির্বাচনের। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশের মোট ৬৫টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন সেরে নেওয়া হবে। ওই তালিকায় ফালাকাটার ঠাঁই পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা। সেই ঘোষণা মেনে ভোট হলে নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনা ফালাকাটায়। তাই এখন থেকেই নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার কর্মসূচি স্থির করে আজ থেকেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় তৃণমূল।
সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং ভ্রান্ত নীতির প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল এই উপনির্বাচনের প্রচারে যে ঝাঁপাতে চাইছে সেটা তৃণমুলের নেতাদের কথাতেও স্পষ্ট। তৃণমূল সুত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কয়েক দিন আগে ৮, ১৪ ও ২০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে পথে নামার কথা ঘোষণা করেন। দলীয় সেই নির্দেশিকা মেনে ফালাকাটা বিধানসভা ক্ষেত্রের প্রতিটি অঞ্চল সভাপতিকে জোর আন্দোলনে ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তৃণমুলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মণ জানান, ফালাকাটা বিধানসভা ক্ষেত্রের প্রতিটি অঞ্চলে দুটি-তিনটি করে প্রতিবাদ সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী হবে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলে। তবে তিনজনের নাম নিয়ে চর্চা চলছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এর মধ্যে ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মণ, ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ রায় এবং প্রয়াত বিধায়ক অনিল অধিকারীর ছেলে জয়ন্ত অধিকারীর নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, ব্লকের এক যুব নেতার নাম নিয়েও চর্চা হচ্ছে।
সুভাষ রায় বলেন, ‘‘আমাদের দলে প্রার্থী ঘোষণার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন দলনেত্রী। এখন পর্যন্ত কারও নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হয়নি। অনেকের নাম বাতাসে ভাসছে। দলনেত্রী যাকে প্রার্থী করবেন তাঁকে মেনে নিয়ে জিতিয়ে আনাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মণ বলেন, ‘‘যাকেই প্রার্থী করা হোক, দলীয় কর্মসূচি এবং নির্দেশ মেনে তাঁকে জিতিয়ে আনা আমাদের প্রধান কাজ।’’ দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘উপনির্বাচনের জোর প্রচারে নামছি আমরা। নেতা-কর্মীদের আজ থেকে সেই কর্মসূচিতে ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী দলনেত্রী চূড়ান্ত করবেন।’’
দলের জেলার মুখপাত্র বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার থেকে ব্লকে এবং অঞ্চলগুলিতে পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা হবে।