TMC

একনায়কতন্ত্র চলছে, নালিশ খোকন মিয়াঁর

এ দিন খোকন প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানানোয় দলে অস্বস্তি বাড়ল।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৩:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দ্বন্দ্ব ক্রমেই যেন অতিমারির আকার নিতে চলেছে কোচবিহার জেলা তৃণমূলে। এ বারে দলের মধ্যে ‘একনায়কতন্ত্রে’র অভিযোগ তুললেন দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁ। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, জেলা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিধায়ককে না জানিয়ে তাঁর এলাকায় কোনও বৈঠক করা যাবে না। সেখানে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের দিয়ে একটি বৈঠক বিধায়ককে না জানিয়েই করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, খোকন নিজে দলের ওই ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তাঁকেও ওই মিটিং সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “বিধায়ক নেই। বিধায়ককে আপনারা ঠুঁটো জগন্নাথ ভাবছেন। বিধায়ককে সম্মান দেওয়া উচিত ছিল। তাঁকে না জানিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা হচ্ছে। এ ভাবে একনায়কতন্ত্রে দল চলতে পারে না। জেলা নেতৃত্ব শুধরে নিন। না হলে অচিরেই বিপদে পড়তে হবে। বিপদ আটকাতে পারবেন না।”

Advertisement

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দিনকয়েক আগেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেন। সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। জানিয়ে দেন, তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে প্রস্তুত। তার পর থেকে তাঁর মোবাইল ‘সুইচড অফ’। এই অবস্থায় দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করে। তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর, কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি পরিমল বর্মণও জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ জানান। এ দিন খোকন প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানানোয় দলে অস্বস্তি বাড়ল। পরিমল ও হুমায়ুনকে দল জেলা কমিটি বা ব্লক কমিটির কোনও পদ দেয়নি। খোকনকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাঁর সঙ্গে দলের জেলাস্তরের সব নেতারই বর্তমানে সম্পর্ক রয়েছে।

কিছুদিন আগে হরিণচওড়া ফুটবল মাঠে বড়স়ড় সভা করে তিনি দলের নতুন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে সংবর্ধনা দেন। অল্পসময়ের মধ্যে ওই নেতা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হওয়ায় দলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তিনি যে দলের জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য করেই ওই অভিযোগ করেছেন সেই দাবি অনেকেরই। দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম বলেন, “তিনি কী বলেছেন আমি জানি না। আমাকে কিছু বলেননি। তাঁর সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement