দগ্ধ: মিরিকে জিটিএ দফতরে আগুন।—নিজস্ব চিত্র
এ বার পাহাড়ের থানায় বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মণিকুমার তামাঙ্গের (জিম্বা) বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এতে ডান চোখ সহ মুখের একদিক পুড়ে গিয়েছে তাঁর। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে মণিকুমারের। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ করেন তৃণমূলকর্মীরা। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন শুরুর পর এই প্রথম তৃণমূল প্রকাশ্যে কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিল বলে দাবি করা হচ্ছে। মূলত মোর্চাকে সাংগঠনিক জোর দেখাতেই মিরিকে শাসক দল থানা ঘেরাও করেছিল বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল নেতারা অবশ্য সরাসরি থানা ঘেরাওয়ের কথা স্বীকার করেননি।
ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে মিরিকে পৌঁছে যান তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘থানা ঘেরাও হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা স্মারকলিপি দিতে গিয়েছে। ঘটনার কথা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি। আশা করছি পুলিশ অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরবে।’’
শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের চিকিৎসা চলছে। এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ জিম্বার শোয়ার ঘরের জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা ফেলা হয় বলে অভিযোগ। বিছানায় আগুন লেগে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দগ্ধ হন তিনি। রাতেই তাঁকে মিরিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুষ্কৃতীরা একটি মোবাইল ফেলে গিয়েছে বলে দাবি। পুলিশ মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে।
তৃণমূল সরাসরি মোর্চার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। সদ্য শেষ হওয়া ভোটে মিরিক পুরবোর্ড তৃণমূলের দখলে যাওয়ার পর থেকেই মোর্চা নানা ভাবে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক থেকে কাউন্সিলরদের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। মোর্চার নেতারা দাবি করেছেন, ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর হামলায় তাদের কেউ জড়িত নন।