আবাস যোজনায় বাড়ি ফেরানো তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অমর মান্নার মাটির বাড়ি।
মাটির দোতলা বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন। স্বচ্ছল অবস্থা। তবে আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম এসেছিল। অথচ বুথের দরিদ্র অনেকেই তালিকায় থেকে বাদ পড়েছে। পরিস্থিতি দেখে নিজের নাম বাতিলের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সেই বাড়ি প্রকৃত গরিব কাউকে দেওয়ার আর্জিও জানান।
পটাশপুরে গোবর্ধনপুর গ্রামের অমর মান্নার এই ভূমিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। পেশায় কৃষক অমর তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। গোবর্ধনপুর বুথ থেকেই তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন তিনি। বাম আমলে কংগ্রস করতেন। পরে তৃণমূলে এসেছেন। অমরের স্ত্রী রেবতী মান্না অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অমর-সহ এই বুথের প্রায় ৭০ জনের নাম এসেছিল। এ বার সমীক্ষার পরে নভেম্বরে যে তালিকা হয়েছে, তাতেও অমরের নাম রয়েছে। নিজের দোতলা মাটি বাড়িতে থাকেন শাসক দলের এই নেতা। তাঁর বুথ এলাকায় বাঁশের কঞ্চির বাড়িতে বসবাসকারী অসহায় দরিদ্ররা আবাস সমীক্ষায় বাড়ি পাননি বলে দাবি। অমর বলেন, ‘‘মাটির বাড়ি হলেও আমরা ভালভাবেই রয়েছি। সমীক্ষক দলের অদূরদর্শিতায় বুথের অনেক দরিদ্র অসহায় মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এই বঞ্চনা দেখে মানবিকতার খাতিরে আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে আবেদন জানিয়েছি।’’আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর। পটাশপুর ২-র বিডিও শঙ্খ ঘটক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যের আবাস তালিকা থেকে নাম বাতিলের আবেদন পেয়েছি।’’ বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক স্বপন দাসের কটাক্ষ, ‘‘নিয়মানুয়ী উনি বাড়ি পাওয়ার যোগ্য নন। তারপরেও আবাস যোজনায় বাড়ি পেলে বিড়ম্বনা বাড়ত, তাই আগেভাগে বাড়ি ফিরিয়ে প্রচারে এসে এই নাটক করেছেন।’’