পাহাড় থেকে আসছে লোক

তৃণমূল সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১০০-৫০০ জন করে লোক আনতে বলা হয়েছে। শাসকদলের দখলে শিলিগুড়ির ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এগুলি থেকে যত বেশি সংখ্যক লোক আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:১১
Share:

পদার্পণ: বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে লাগোয়া চারটি বিধানসভার সংগঠনের উপর ভরসা করছে শাসক তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানে শিলিগুড়ি আসেন। দলীয় সূত্রের খবর, বিমানবন্দর থেকে সোজা উত্তরকন্যার অতিথি নিবাসে যাওয়ার পর প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি লাগোয়া এলাকা এবং পাহাড় থেকে প্রচুর মানুষ মিছিলে যোগ দিতে আসছেন। আপাতত বৃহস্পতিবার রাত অবধি মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আসা যাওয়ার জন্য এক হাজার গাড়ি, বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৯টার পর থেকে শহরে মিছিল ঢোকা শুরু হবে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১০০-৫০০ জন করে লোক আনতে বলা হয়েছে। শাসকদলের দখলে শিলিগুড়ির ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এগুলি থেকে যত বেশি সংখ্যক লোক আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরের ওয়ার্ডগুলি থেকে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ করে মিছিলে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তবে মিছিলের মূল লোকবল আসবে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, রাজগঞ্জ, ইসলামপুর, চোপড়া বিধানসভা থেকে। এর কিছু অংশই দার্জিলিং লোকসভা আসনের মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া তৃণমূলের দখলে থাকা মিরিক পুর এলাকা থেকে অনেকের আসার কথা।

নিজেদের সংগঠনের বাইরে পাহাড়ের প্রতিটি মহকুমা থেকে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সমর্থনে লোক আসবে বলে ঠিক হয়েছে। তেমনিই, পাহাড়ের প্রতিটি জনজাতি বোর্ড থেকে কম করে ২০০-৪০০ জন সদস্য যাতে মিছিলে যোগ দেন, তা নিশ্চিত করার রাত অবধি চেষ্টা চলেছে। দার্জিলিং জেলা লাগোয়া জলপাইগুড়ির মালবাজার, ময়নাগুড়ি থেকেও কর্মী সমর্থকেরা মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা।

Advertisement

তৃণমূলের উত্তরের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মিছিল রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিলে পরিণত হতে চলেছে।’’ তিনি জানান, ‘‘আমরা কেন্দ্রের ওই আইনের বিরুদ্ধে মতামত রাখা সকলে আসতে অনুরোধ করছি।’’

শিলিগুড়ি ভোটে ফলাফল গত কয়েক বছরে একেবারে আশানুরূপ না হওয়ায় শহরের জমায়েত নিয়ে কিছুটা চিন্তা রয়েছে। কত জন শেষ অবধি এনআরসি বিরোধী মিছিলে আসবেন, তা আজ, শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই স্পষ্ট হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement