অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন যে, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি জনসভায় একই কথা বলছেন অভিষেক— নেতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকলেই টিকিট মিলবে না। প্রার্থী হবে যোগ্যতার নিরিখে। শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় এ হেন অভিষেকের সভায় বিভিন্ন নেতামন্ত্রী, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেখা গেল সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথাও হল তাঁর।
তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অভিষেকের পুরো সভাতেই ছিলেন। সভামঞ্চে উপস্থিত থাকার সময় অভিষেক তাঁর নাও করেন। তবে মেয়ের চাকরি যাওয়ার পর তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক বা ওই প্রসঙ্গে অভিষেকের সঙ্গে তাঁর কোনও কথাই হয়নি বলে জানালেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরেশ বলেন, ‘‘শুধু এই মঞ্চেই নয়, সব (তৃণমূলের) মঞ্চেই ছিলাম। এ নিয়ে কেউ কোনও আপত্তি করেননি।’’
প্রসঙ্গত, বাম জমানায় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন পরেশ। এক সময়ের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের দাপুটে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দলবদল করেন। পরে মন্ত্রিত্বও পান। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীরও চাকরি চলে যায়। ঘটনাক্রমে এর অব্যবহিত পর মমতার মন্ত্রিসভার রদবদলের পর কাটা পড়ে পরেশের নাম। ২০২১ সাল থেকে তিনি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁর ঘনিষ্ঠরাই বলেন যে, এর পর জেলার রাজনীতিতেও ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এমনকি, পরেশের বিধানসভা এলাকা, মেখলিগঞ্জের তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশও পরেশের বিরুদ্ধে সরব। যদিও শনিবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘শিলিগুড়িতেও মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছিলাম। আমাকে দলের তরফে কেউ কিছু বলেননি। অভিষেকও কোনও বিষয় নিয়ে আমায় কিছুই বলেননি।’’