প্রচার: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার শিলিগুড়িতে। ছবি: স্বরূপ সরকার
জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের কমিটি নতুন করে তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বার দার্জিলিং জেলার কমিটিও নতুন করে তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরমধ্যে জেলা কমিটির আওতায় থাকা ব্লক থেকে টাউন- সব কমিটিই ভাঙা হতে পারে। ইতিমধ্যে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি ব্লক কমিটি এবং ৩ নম্বর টাউন কমিটি ভাঙা হয়েছে। জেলা কমিটির সভাপতি বদল নিয়ে আলোচনা না হলেও পুরনো এবং নতুন মিলিয়ে সক্রিয় নেতানেত্রীদের বিভিন্ন কমিটিতে দায়িত্বে রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে। কমিটিতে থেকেও যাঁরা নিয়মিত দলের কর্মসূচিতে আসেন না তাঁদের কমিটির বাইরে রাখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। জেলা সভাপতি গৌতম দেব রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন। সূত্রের খবর, জেলায় পাহাড় বাদে সমতলের কমিটিগুলো সাজা শুরু হবে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর থেকেই একের পর এক জেলা কমিটি ভাঙা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দু’টি জেলা এবং দার্জিলিং জেলা নিয়ে তৃণমূল একটি কোর কমিটি করেছে, যার মাথায় বসানো হয়েছে গৌতম দেবকে।
শিলিগুড়ি এলাকায় বারবার তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। পুরসভা থেকে মহকুমা পরিষদ এমনকী বিধানসভাতেও হেরেছে তৃণমূল। শেষ লোকসভা ভোটেও দল হেরেছে। তাতে দলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য নেতারা অনেকেই অসন্তুষ্ট। এর ফলে সক্রিয় এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতানেত্রীদের আবার ময়দানে নামতে চাইছে দল। কাউন্সিলর থেকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে, তাঁদের আর সামনে রাখতে চাইছে না দল। এই কারণে শহরের এনজেপি এবং সংযোজিত এলাকা ধরে তৈরি ৩ নম্বর টাউন কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ভাঙা হয়েছে মাটিগাড়া এবং নকশালবাড়ি ব্লক কমিটিও। পরের দফায় ফাঁসিদেওয়া এবং খড়িবাড়ি ব্লক কমিটি এবং শহরের বাকি দু’টি টাউন কমিটিও ঢেলে সাজাতে চাইছেন নেতৃত্ব। নতুন কমিটিতে নতুন মুখ আনার পক্ষপাতী নেতৃত্ব। তাঁদের সামনে রেখেই পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপির মোকাবিলায় নামার পরিকল্পনা নিয়েছে দল।
জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা জানান, এখনও পুরনো নেতাদের অনেকেই ঠিকঠাক মর্যাদা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বিভিন্ন কমিটিতে, শাখা সংগঠনে দায়িত্বে থাকা একদল নেতা ক্ষমতা ধরে বসে থাকতে চাইছেন বলেও অভিযোগ। জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘পুরোটাই দলের অন্দরের বিষয়। দলকে শক্তিশালী করতে যা যা করার সব করা হচ্ছে।’’