ভয় ভেঙে উঠল ঝাঁপ

সোমবার দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা মিরিক শহরে মিছিল করে শান্তির পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। হাতে, গলায় ও মাথায় সাদা ফেট্টি বেঁধে শান্তির পক্ষে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় হাঁটলেন তৃণমূল কর্মীরা। মিছিল যত এগিয়েছে, পা মিলিয়েছেন বহু সাধারণ বাসিন্দাও।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

মিরিক শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৭
Share:

ছন্দে: পানিঘাটায় খুলেছে দোকান। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

শান্তির মিছিল। তাই পতাকার রং সাদা। কিন্তু তৃণমূলই যে এই মিছিলের আয়োজক, তা জানতেন সবাই। নিত্য দিনের ভয়ভীতি, হুমকি কাটিয়ে পাহাড়বাসীর ভরসা জোগাতে সোমবার মিরিকে আসরে নামে তৃণমূল। সেই মিছিল দেখে পাহাড়বাসীর আশা, মিরিক থেকে এই শান্তির বার্তা সারা পাহাড়েই ছড়িয়ে পড়বে।

Advertisement

সোমবার দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা মিরিক শহরে মিছিল করে শান্তির পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। হাতে, গলায় ও মাথায় সাদা ফেট্টি বেঁধে শান্তির পক্ষে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় হাঁটলেন তৃণমূল কর্মীরা। মিছিল যত এগিয়েছে, পা মিলিয়েছেন বহু সাধারণ বাসিন্দাও। একই ভাবে কার্শিয়াং মহকুমার পানিঘাটাতেও রাস্তার নেমে বিমল গুরুঙ্গদের বন্‌ধের ফতোয়া উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলান তৃণমূল নেতারা। রবিবার পানিঘাটায় মোমবাতি মিছিলও হয়েছে। পুলিশ পাহারায় তিন মাস পর চালু হয়ে গেল সরকারি বাসও।

এ দিন বিকেলে মিরিক বাজারে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সভাও করে তৃণমূল। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান লাল বাহাদুর রাই বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কত লোক রয়েছে, তা দেখিয়ে দিলাম। তাই ইচ্ছা করলে ১ ঘন্টার মধ্যে মিরিক খুলিয়ে দিতে পারি। কিন্তু তাতে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি হতে পারে। আমরা শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। তাই রাস্তায় নেমে মানুষকে ভরসা জোগাচ্ছি।’’ চেয়ারম্যানের পাশে থাকা দলের মিরিক ব্লক সভাপতি অনিল ছেত্রী জানান, মিরিকবাসীর পুরসভায় বোমা মেরে, গাড়ি জ্বালিয়ে ওরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন কী, তা তাঁরাই এ দিন দেখালেন। তাঁদের মিছিলে লোক আসা ঠেকাতে চোরাগোপ্তা হুমকি চলছে বলেও অভিযোগ করেন অনিল। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের চাপে ওরাই পড়ে গিয়েছে। আমরাও দেখব, কাল থেকে ওরা কী করে!’’

Advertisement

এমনিতেই রবিবার মোর্চা নেতাদের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে বিনয় তামাঙ্গের বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে পাহাড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তার পরে এদিন তৃণমূলের বাসিন্দাদের নিয়ে মিছিল, দোকানপাট খোলায় অনেকটাই চাপে মোর্চা। তাই মিরিক, পানিঘাটার মত জায়গায় জমায়েত না করে মিরিক থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার নিচে সৌরণি চা বাগানে মিছিল করেন কয়েকশো মোর্চা কর্মী। কোথাও কোনও নেতানেত্রীর দেখা মেলেনি।

সকালে মিরিক পুরসভায় গিয়ে রোজকার কাজকর্ম করে চেয়ারম্যান। তার পরে কয়েক হাজার কর্মীদের নিয়ে নিজেই রাস্তায় নেমে পড়েন। পানিঘাটার বিকেলে আরেক দফায় রাস্তায় দোকানদারদের অভয় দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (পাহাড়) রাজেন মুখিয়া, মুখপাত্র বিন্নি শর্মারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement