ফাইল চিত্র।
শীর্ষনেতাদের দ্বন্দ্ব তো রয়েইছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও তৈরি হয়েছে একাধিক গোষ্ঠী। পুরভোটের মুখে কোচবিহারে যা তৃণমূল নেতাদের রাতের ঘুম কেড়েছে।
প্রায় সকলেই দলের অভ্যন্তরে স্বীকার করছেন, এমন চলতে থাকলে মোটেও ভাল ফল হবে না। জয়ী কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডও হাতছাড়া হবে। এই অবস্থায় আজ, সোমবার কলকাতায় দলের বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) কী ‘উজ্জীবন বার্তা’ দেন সেইদিকেই তাকিয়ে সবাই। বিশেষ করে নিচুতলার কর্মীদের ভরসা, টিম পিকে-র উপরেই। তাঁদের আশা, টিম পিকে-র মাধ্যমে দলনেত্রীর কাছে সঠিক খবর পৌঁছবে। সেক্ষেত্রে সহজেই জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন নেত্রী। এখানেই চিন্তা জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের। টিম পিকে-র কাছে নিচুতলা থেকে কী কী অভাব-অভিযোগ পৌঁছেছে, তা তাঁদের অজানা। সেই ভিত্তিতে টিম পিকে-র দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে নেত্রী কী ব্যবস্থা নেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক নেতারা।
বৈঠকে যোগ দিতে রবিবারের মধ্যেই অধিকাংশ নেতা-কর্মী কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন। রবিবারও অনেকে বিমান-ট্রেনে পাড়ি দিয়েছেন। দিনদুয়েক আগেই টিম পিকে-র সদস্যেরা কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে বৈঠক করে ওই সভার জন্য আমন্ত্রিত নেতা-কর্মীদের হাতে বার কোড ও কার্ড তুলে দেন। সেখানে স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই বৈঠক নিয়ে কেউ কোথাও যেন মুখ না খোলেন। এমনকি, এক নেতা বাইরের কারও সঙ্গে ওই বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন জেনে তাঁকে তিরস্কারও করা হয়।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ওই বৈঠক নিয়ে স্বাভাবিক কারণেই কিছু বলতে চাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলা নেতা বলেন, “পুরসভা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই ওই বৈঠক হবে তা মোটামুটি পরিষ্কার। তার আগে দিদিকে বলো-র মতোই একটি নতুন ইভেন্ট ঘোষণা হবে।’’
কোচবিহারে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। দলের নিচুতলার কর্মীদের একটি অংশ মনে করছে, এমন অবস্থায় টিম পিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। দলেরই এক নেতার কথায়, “টিম পিকের নথিতে জেলা তৃণমূলের কী কী রোগ রয়েছে তা লিপিবদ্ধ হয়েছে। সেই মতো প্রেসক্রিপশনে টনিকের উল্লেখ থাকলে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে।’’ কিন্তু কি টনিকে তৈরি করেছন পিকে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।