নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার দিনেই বিতর্কে জড়ালেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি মাধ্যমিক না স্নাতক পাশ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা কোচবিহারেরই প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় নেটমাধ্যমে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন নিশীথকে। দলীয় সাংসদকে আক্রমণের জবাব দিয়েছে গেরুয়াশিবিরও।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় দফার সরকারের প্রথম বার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। সেই মন্ত্রিসভার তরুণ মুখ নিশীথ। তাঁকে নিশানা করেই ফেসবুকে কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘শুনলাম কোচবিহারের সাংসদ মন্ত্রী হচ্ছেন। বেশ ভাল কথা। কিন্তু লোকসভার সাইট খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। ওয়েবসাইটে সাংসদ মহাশয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখাচ্ছে B.C.A (Bachelor of Computer Application)। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময় হলফনামায় লেখা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। আমি না বিষয়টি বুঝতে পারলাম না! কেউ কি বোঝাবেন নাকি সাংসদ মহাশয় নিজেই বিষয়টি খোলসা করবেন। সামাজিক মাধ্যমেই কোচবিহারের মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।’
নিশীথকে আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘পার্থবাবু নিজে প্রাক্তন সাংসদ হয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করতে লজ্জা লাগে না? নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি জানতে হয় তা হলে আরটিআই করে জেনে নিন। কোচবিহারের ইতিহাসে এই প্রথম কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। পার্থবাবু সেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।’’
নিশীথ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক তুলেছে তৃণমূল। ভারত সরকারের ওয়েবসাইট india.gov.in-এ ‘ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট’ বিভাগে নিশীথ সম্পর্কিত যে তথ্য দেওয়া রয়েছে তাতে লেখা, তাঁর কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিসিএ। বালাকুড়া জুনিয়র বেসিক স্কুল থেকে ওই ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। আবার ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নিশীথ যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতে লেখা, তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। দিনহাটার ভেটাগুড়ি এলাকার লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।