দ্বারে: অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে রঞ্জন সরকার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে তৃণমূল নেতারা। রবিবার সাতসকালে সেই কার্ড নিয়ে বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে হাজির দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার।
এ দিন অশোক বাড়ি ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী’র সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসেন রঞ্জন। বাইরে এসে অশোক ভট্টাচার্য এ বার নির্বাচনে ‘ডুবছেন’ বলে মন্তব্য তাঁর। এ দিন তৃণমূল নেতৃত্ব বাড়িতে আসার আগেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মানুষের অভিযোগ শুনতে ঘরে ঘরে যান বিধায়ক ও পুর-প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র সঙ্গে বিলি হচ্ছে গত ১০ বছরে রাজ্য সরকারের ‘রিপোর্ট কার্ড’। এ দিন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও বঙ্গধ্বনি যাত্রা হয়। ছিলেন ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন। ওই নম্বর ওয়ার্ডেই বাড়ি বিধায়ক অশোকের। সকালে তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র মিছিল যায়। সেই সময় ‘রিপোর্ট কার্ড’ নিয়ে সোজা বিধায়কের বাড়ি ঢোকেন রঞ্জন। অশোক প্রচারের জন্য বাইরে থাকায় তাঁর স্ত্রী’র হাতে ‘রিপোর্ট কার্ড’ তুলে দেওয়া হয়। খোঁজ নেওয়া হয় তাঁদের স্বাস্থ্যেরও।
অন্যদিকে, কোথায় বাসিন্দারা ভাতা পাচ্ছেন না, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না সেই সংক্রান্ত অভিযোগ শুনতে একই ওয়ার্ডে ঘুরছিলেন অশোক। ওয়ার্ড ঘুরে পরে বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘মাছের সঙ্গে জলের সম্পর্কের মতোই আমাদের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক। আর তৃণমূল যা করছে তা শুধু লোক দেখানোর জন্য। পিকে তৃণমূলকে ভেঙে দিয়েছে।’’
রঞ্জনের পাল্টা কথা, ‘‘উনি নিজেই এ বার ডুবছেন। শিলিগুড়ির মানুষ আওয়াজ তুলেছেন। কোরামিন দিয়েও তাঁকে বাচানো যাচ্ছে না।’’ অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন? উত্তরে রঞ্জন বলেন, ‘‘তিনি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর সুস্থতা আগে কামনা করছি। সকলে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত হোক। তাই চাই।’’