ছবি: সংগৃহীত।
দার্জিলিং মোড়ের যানজট কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানানোর দাবিতে অনশনে বসার হুমকি দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
দার্জিলিং মোড়ে ছয় লেনের রাস্তার কাজ দ্রুত শুরুর দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে জেলা তৃণমল। শুক্রবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মঞ্চ খাটিয়ে দুপুর ১২টা থেকে ৪টা অবধি অবস্থান চলে। এ দিনই কলকাতা থেকে ফিরে সোজা অবস্থান যোগ দিয়েছেন মন্ত্রী। এ দিন তিনি মাইকে ঘোষণা করেন, ‘‘১৫ অগস্ট অবধি আমরা দেখব। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে জানাক দার্জিলিং মোড় নিয়ে কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। না হলে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি হবে। দিনক্ষণ ঠিক করে আমি ২৪ ঘণ্টার অনশনে বসে যাব।
চলতি সপ্তাহেই দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূলের দাবি, সাংসদ চার লেনের রাস্তার কথা বলেছেন। অথচ গত দেড় বছর ধরে কলকাতাগামী ওই রাস্তার শহরের একটি অংশ ছয়লেন করার আলোচনা চলছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে মাটিগাড়ার ফাঁসিদেওয়া মোড় থেকে শালুগাড়া অবধি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক চার লেন করার প্রস্তাব হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রের আলোচনায় সমীক্ষা শুরু হয়। রাজ্য কিছু জমি কেন্দ্রকে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এরমধ্যে চিন সীমান্তের ডোকালামের পরিস্থিতির জেরে রাস্তাটি ছ’লেন হবে বলে কেন্দ্র রাজ্যকে জানায়। তার সঙ্গে দার্জিলিং মোড়ে উড়ালপুলের পরিকল্পনা তৈরি হয়।
কিন্তু সাংসদ রাজু বিস্তা চার লেনের কথা বলায় তৃণমূল আন্দোলনে নামে। দলীয় সূত্রের খবর, দলের নীতি অনুসারে বিজেপি বিরুদ্ধে বিষয় পাওয়া মাত্রই আন্দোলনের নির্দেশ রয়েছে। সেই মতো এ দিনের অবস্থান কর্মসূচি হয়। মন্ত্রী জানান, শহরের মানুষের সমস্যা মেটাতে বাম আমলে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে তাতে সমস্যা মিটবে না। তাঁর দাবি, উড়ালপুল এবং ছয়লেনের রাস্তা হলেই সমাধান হবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ দিন অবস্থানে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার, যুব নেতা বিকাশ সরকার, টাউন কমিটির নেতা বেদব্রত দত্ত, মদন ভট্টাচার্য-থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।