বিধায়কের বিরোধিতা করায় শীতলখুচিতে মার তৃণমূল নেতাকেই

তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহার জেলা কোর কমিটির এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার শীতলখুচি রোডের একটি প্লাইউড কারখানার সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:০১
Share:

জখম আলিজার। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহার জেলা কোর কমিটির এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার শীতলখুচি রোডের একটি প্লাইউড কারখানার সামনে।

Advertisement

তৃণমূলের ওই শ্রমিক নেতার নাম আলিজার রহমান। লোহার রড দিয়ে মারায় তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁকে মাথাভাঙা হাসপাতাল থেকে কোচবিহার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দলীয় সূত্রের খবর, মাথাভাঙায় দীর্ঘদিন ধরেই বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়ক হিতেনবাবুর অনুগামীদের বিরোধ চলছে। হিতেনবাবুর সঙ্গে একসময় আলিজার রহমানের সখ্যতা ছিল। কয়েক মাস ধরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। দিন কয়েক আগে মাথাভাঙা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হিতেনবাবুর অনুগামীদের বিরোধিতা করেন আলিজার। ভোটে হেরে যাওয়ার পরে আলিজার রহমানের অনুগামীরা জোরপাটকি এলাকায় মিছিল করে হিতেনবাবুর বিরুদ্ধে সরব হয়। এর পরেই রবিবার রাতে ফোন হিতেনবাবুর স্ত্রী কল্পনাদেবী আলিজারকে ‘ফল ভাল হবে না’ বলে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিন ওই প্লাইউড কারখানায় শ্রমিকদের বেতন সমস্যা নিয়ে মিটিং ডাকা হয়। সেখানে আলিজার রহমান যান। মিটিং শুরু হলে আচমকা কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে লোহার রড দিয়ে তাঁদের উপরে হিতেনবাবুর অনুগামীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, “আমি কোচবিহার শহরে একটি অনুষ্ঠানে আছি। ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। পরে বিষয়টি খোঁজ নেব।” হিতেনবাবুর স্ত্রীকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্য়করী সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “এখনও জানি না। বিষয়টি খোঁজ নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement