প্রতীকী ছবি।
কালো টাকা ফেরতের দাবিতে দু’মাস আগেই মিছিলে লোক পায়নি তৃণমূল। বেশিরভাগ বুথে মিছিলই হয়নি। নাগরিক পঞ্জির হাওয়া পালে লাগিয়ে সেই তৃণমূলই এখন মাত্র এক থেকে দু’দিন আগে ঘোষণা করে ব্লক ভিত্তিক জনসভা ডাকছে জলপাইগুড়িতে। সোমবার রাতে ঘোষণা করে দুপুরে দুই মন্ত্রীকে দিয়ে ময়নাগুড়িতে সভা করেছে তৃণমূল। ধূপগুড়িতে এবং আগামিকাল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকেও মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিকে বক্তা করে সভা হবে। ধূপগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে এনআরসি আতঙ্কে মৃতদের বাড়ির পাশের কোনও মাঠে সভা হবে বলে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
তাই লোকসভা ভোটে হারের পরে জেলায় জমি ফেরত পাওয়াই শুধু নয়, নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের আপাতত অস্ত্র এনআরসি। উল্টো দিকে আপাতত এনআরসি নিয়ে ‘নিশ্চুপ’ বিজেপি শিবির।
অসমের এনআরসি তালিকা প্রকাশ হতেই বাসিন্দাদের মধ্যে ভিটেছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধে। আতঙ্কিত লোকগুলিকে ডেকে নিয়ে ছোট-ছোট সভা শুরু হয় জেলা জুড়ে। সম্প্রতি পরপর আতঙ্কে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যায় বলে দাবি। সবক্ষেত্রেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ঝাপিয়ে পড়ে তৃণমূল। এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী অন্নদা রায়ের পরি্বারের পাশে দাঁড়াতে আসা পূর্তমন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস ছুটে যান অন্য দুই আত্মঘাতীর বাড়িতেও। সেই সঙ্গে ময়নাগুড়ির সভায় অরূপ বিশ্বাসকে ‘ভিড়’ দেখাতে পেরে বেজায় খুশি দলের জেলা নেতারাও। জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “মানুষ আবার ফিরতে শুরু করেছেন। জেলার সব প্রান্তে বড় বড় সভা হবে।’’
সূত্রের খবর, মন্ত্রী অরূপ জানিয়েছেন, দ্বন্দ্বকে গুরুত্ব না দিয়ে আপাতত এনআরসি আন্দোলনেই জোর দিতে হবে।
কী বলছে বিজেপি?
ভোটের আগে রাজ্যে ‘এনআরসি হবেই’ দাবি করে বিজেপির পাড়া নেতাওরাও হুঙ্কার ছাড়তেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর কথায়, “মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ ১ অক্টোবর কলকাতায় এসে যা বলার বলবেন।”