— প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে ঢুকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে মালদহে ওই ঘটনার পরে, অভিযুক্তকে আটকালে, নির্যাতিতা এবং তাঁর দুই আত্মীয়কে ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তার বাড়ির লোকেরা মারধর করে, অভিযোগ। সে রাতেই থানায় ওই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ছ’জনের নামে অভিযোগ করেন মহিলা।
সোমবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” সোমবার নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা এলাকাছাড়া। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
ওই মহিলার স্বামী ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন মহিলা। পাশে আত্মীয়েরা থাকেন। অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এলাকার দু’বারের পঞ্চায়েত সদস্য বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণ করে। মহিলার চিৎকার শুনে পৌঁছন আত্মীয়েরা। পরিবারটির দাবি, ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে আটক করা হয়। সে সময় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়েরা সেখানে ‘চড়াও’ হয়। নির্যাতিতা ও তাঁর দুই আত্মীয়কে ‘মারধর’ করে পঞ্চায়েত সদস্যকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে, গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে।
মহিলার অভিযোগ, ‘‘রাতে আচমকা পঞ্চায়েত সদস্য বাড়িতে ঢুকে আমাকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওকে আটকে রাখলে, আমার আত্মীয়দের মারধর করে ওর আত্মীয়েরা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মুর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের আমলে বাড়ির মেয়ে, মহিলারা বাড়িতেই সুরক্ষিত নন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘‘কেউ অন্যায় করলে দল পাশে থাকবে না। তৃণমূলের কেউ অন্যায় করলে, শাস্তি পায়। বিজেপিশাসিত রাজ্যে হয় না।’’