Bangladesh Situation

কৌশলে জমি আত্মসাৎ! হাসিনা, কন্যা পুতুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

ঢাকার উপকণ্ঠে একটি আবাসিক জমি কৌশলে দখল করা হয়েছে। অভিযোগ, কন্যা পুতুলের অনুরোধে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই কাজ করিয়েছেন। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৯
Share:
Arrest warrant issued by Bangladesh court against Sheikh Hasina and her daughter

(বাঁ দিকে) বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কন্যা সাইমা ওয়াজ়েদ পুতুল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর কন্যা সাইমা ওয়াজ়েদ পুতুল-সহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। অভিযোগ, তাঁরা ঢাকার উপকণ্ঠে আবাসিক জমি কৌশলে এবং প্রতারণামূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলেন। সেই মামলা চলছিল রাজধানীর আদালতে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে এই সংক্রান্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে। তা গ্রহণ করার পরেই বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচল এলাকায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে আবাসিক জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। কন্যা পুতুলের অনুরোধে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই কাজ করিয়েছেন। সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। হাসিনাদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা রুজু করেছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এ বার তারা আদালতে চার্জশিট জমা দিল।

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ সালাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট আগামী ৪ মে জমা দিতে বলেছে আদালত। অভিযুক্তেরা ফেরার বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন জমিটি অধিগ্রহণের জন্য মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন পুতুল। ওই জমির বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও রকম কথাই বলেননি তিনি। ওই এলাকায় তাঁদের পারিবারিক জমি থাকা সত্ত্বেও এই জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

হাসিনার কন্যা পুতুল ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন নয়াদিল্লিতে। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে হাসিনাও ভারতে চলে আসেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি এবং অপরাধের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এর আগেও হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। কিন্তু এখনও তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement