গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে ঘিরে বিক্ষোভ দলের একাংশের। — নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে গিয়ে তেমনই কোন্দলের সাক্ষী হলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। যদিও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে তা মানতে নারাজ গিরীন্দ্রনাথ।
শুক্রবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহঙ্গা বাজার এলাকায় যান গিরীন্দ্রনাথ। সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অভিযোগ, ফুলবাড়ি এলাকার অঞ্চল সভাপতি বিনয় বর্মণকে অঞ্চল সভাপতি করার পর থেকে তিনি নিজের খেয়ালখুশি মতো দল চালাচ্ছেন। দলের মধ্যে চলছে একনায়কতন্ত্র। গুরুত্ব পাচ্ছে না সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা। এই অভিযোগেই গিরীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পরেন গিরীন্দ্রনাথ।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রঞ্জিত বর্মণ বলেন, ‘‘অঞ্চল সভাপতি বিনয় বর্মণকে নিয়ে আমাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। জেলা সভাপতি এবং জেলার চেয়ারম্যানকে বার বার জানানোর পরেও বিনয় একতরফা ভাবে দল চালিয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিষয়টি জানান দেওয়া হল। প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’’ যদিও গিরীন্দ্রনাথের দাবি, এ ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তিনি দলীয় কার্যালয়ে যখন যান তৃণমূল কর্মীরা দলের স্লোগান দিচ্ছিলেন। অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে কোনও স্লোগান তিনি শোনেননি। তাঁর দাবি, ‘‘দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’’
যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রতিটি এলাকায় অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতি, সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের চাইছেন না। তাই জেলা নেতৃত্ব ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি নিয়ে যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এখন সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চায়েতে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলে দেবে।’’