হাসপাতালের শয্যায় ওই তৃণমূল নেতা। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে সিঁদ কেটে তাঁকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল কোচবিহারের শীতলখুচি। শাসকদলের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীকে খুনের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শীতলখুচির নগর লালবাজার এলাকার বাসিন্দা খবির হোসেন মিয়া স্থানীয় বুথের তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিঁদ কেটে ঢুকে তাঁর মুখ-হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। তার পর নগর লালবাজারের ২৭৮ নম্বর বুথের প্রার্থী খবিরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা ঘুম থেকে উঠে পড়ায় খবিরকে অপহরণ করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। তবে তাঁকে মারধর করা হয়েছে এবং চোখে কোনও জিনিস ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আহত ওই তৃণমূল প্রার্থীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শীতলখুচি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থীকে ‘অপহরণের চেষ্টা’র খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূল। শনিবার শীতলখুচি-সিতাই সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। সেখানে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল নেতা তপনকুমার গুহ। দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান তপন। এ নিয়ে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে রাতের বেলা সিঁদ কেটে ঢুকে তাঁকে খুনের চক্রান্ত করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে অন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে চোখে কিছু ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’’ বিধায়ক জানান, দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সাধারণ মানুষ পথ অবরোধ করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।