প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোচবিহারে নির্যাতিত নাবালিকার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। বেলায় হাসপাতালে গিয়ে তৃণমূলের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ। নাবালিকার বাবাকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয়ে যায় দুই দলের টানাহেঁচড়া। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মৃত নাবালিকার বাবা।
কোচবিহারের ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। সপ্তাহখানেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার। তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাহুল। এর কিছুটা পরেই এমজেএন হাসপাতালে পৌঁছন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এই সময় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির রাহুলের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এর পরেই হাসপাতাল চত্বরের পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। নির্যাতিতার বাবা কোন দিকে থাকবেন তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় টানাহেঁচড়া। এমন পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়ের বাবা। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এমজেএন হাসপাতাল। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশবাহিনী পৌঁছয় হাসপাতালে। এর পর নির্যাতিতার বাবা সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পান। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পরে নির্যাতিতার বাবাকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ঘটনায় অভিযুক্তেরা বিজেপি এবং সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এবং সিপিএমের হয়ে কাজ করেছিল। রাহুল সিন্হা ওদের আড়াল করার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু উনি ওদের বাঁচাতে পারবেন না।’’
রাহুল পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের একটাই আশঙ্কা যে, শেষ পর্যন্ত দোষীরা না ছাড়া পেয়ে যায়। অপরাধীদের গ্রামবাসীরা ধরে দিয়েছে পুলিশকে। এর থেকে বোঝা যায় পুলিশ কতটা নিষ্ক্রিয়। এই বিষয়টি মানবতার দৃষ্টিতে দেখতে অনুরোধ করব। নাবালিকার কাকিমা তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তাই তাঁকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত। কিন্তু বাবা-মা আগে না কাকিমা আগে?’’