—ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফলে বিজেপির ‘বিপর্যয়ে’র পরে মালদহে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক পালে টানতে মাঠে জেলা তৃণমূলের আদিবাসী সেল।
দলীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে জেলার আদিবাসীদের অধিকাংশ ভোট ঝুঁকেছিল বিজেপির দিকে। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়কে সামনে রেখে হারানো সেই জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে তৃণমূল। আদিবাসী উন্নয়নে রাজ্যের প্রকল্পের কথা তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূলের আদিবাসী সেল।
সংগঠন সূত্রে খবর, জেলার আদিবাসী প্রধান পঞ্চায়েত এলাকার বুথে বুথে গিয়ে কর্মীরা বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরবেন। পরিষেবা পেতে কী ভাবে আবেদন করতে হবে তা-ও জানানো হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মালদহ জেলার হবিবপুর, বামনগোলা, গাজল ও পুরাতন মালদহ ব্লক আদিবাসী প্রধান বলে পরিচিত। চাঁচল-২ ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকেও কিছু আদিবাসী মানুষ বসবাস করেন। সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী, মালদহ জেলায় তিন লক্ষ ১৩ হাজার ৯৮৪ জন আদিবাসী মানুষ বসবাস করেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তার জেরে নির্বাচনে আদিবাসী ভোট-ব্যাঙ্ক বিভিন্ন দলের নজরে থাকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী প্রভাবিত চারটি ব্লকেই খারাপ ফল হয় তৃণমূলের। হবিবপুর ও বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি এবং ওই দুই ব্লকের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। গাজল ও পুরাতন মালদহ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতেও ভাল ফল করে গেরুয়া শিবির। ওই চারটি ব্লকের বেশিরভাগ জেলা পরিষদ আসনও দখল করে বিজেপি। লোকসভা ভোটেও ওই ফলাফল ধরে রেখেছিল তারা।
কিন্তু মালদহের পড়শি ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে এ বার আদিবাসীদের বেশির ভাগ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সংগঠনের দাবি। আর সেই জনমতকে প্রচারে এনেই মালদহের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক টানতে এখন থেকেই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূলের মালদহ জেলা আদিবাসী সেল। সংগঠন সূত্রে খবর, সরকারি ভাতা, ছাত্রছাত্রীদের ভাতা, মাঝির থান তৈরি-সহ নানা প্রকল্পের কথা আদিবাসীদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে তারা।
সেল-এর জেলা সভানেত্রী সরলা মুর্মুর বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জেলার আদিবাসী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে দলের ফল খারাপ হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটে আদিবাসীদের বেশিরভাগ বিজেপির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। তা সামনে রেখে মালদহের আদিবাসীরা যাতে রাজ্যের নানা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিকমতো পান সে কথা প্রচার করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ একটাই বার্তা তাঁদের দিতে চাই যে আদিবাসীদের পাশে তৃণমূল ছিল, আছে ও থাকবে।’’