Cooch Behar

‘দিদির দূত’ হয়ে দলে প্রস্তুতি প্রশ্নোত্তরের

দল সূত্রের দাবি, তৃণমূলের নেতারা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাস (প্লাস) যোজনার ঘর। কোথাও সে তালিকায় দলীয় নেতা-কর্মী বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম রয়েছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৪
Share:

— ফাইল চিত্র।

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে এ বার গ্রামে-গ্রামে যেতে হবে তৃণমূল নেতাদের। এক রাত কাটাতেও হবে কোনও কর্মীর বাড়িতে। আর এই দীর্ঘ সময়ে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে নেতাদের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কী প্রশ্ন করতে পারেন গ্রামবাসীরা, তার উত্তরে কী বলতে হবে নেতাদের— তা নিয়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

দল সূত্রের দাবি, তৃণমূলের নেতারা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাস (প্লাস) যোজনার ঘর। কোথাও সে তালিকায় দলীয় নেতা-কর্মী বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম রয়েছে। কোথাও গরিব মানুষের অনেকেরই নাম তালিকায় নেই। আবার অনুমোদিত প্রথম তালিকাতেও অনেক বিত্তবান মানুষের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বহু গ্রামেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন মানুষ। তার বাইরে অধিকাংশ জায়গাতেই ভিতরে ভিতরে ফুঁসছেন মানুষ। এ ছাড়া, সরকারি একাধিক প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পে কাজের টাকা অনেকের পাওনা রয়েছে। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ অনেকের নাম যোগ হয়নি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, বেহাল রাস্তা, সেতু, পথবাতি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পানীয় জল নিয়ে বেশ কিছু গ্রামে ক্ষোভ রয়েছে।

আজ, বুধবার দলীয় নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের। এর পরে, তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ‘দিদির দূত’ হিসাবে মানুষের কাছে কী কী বিষয় তুলে ধরবেন, তা জানিয়ে দেওয়ার কথা। অভিজিৎ বলেন, ‘‘সাংবাদিক বৈঠক করে সব জানিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হবে।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়েও মানুষের কাছে যাব। গ্রামবাসীদের কিছু প্রশ্ন থাকলে, উত্তর দেব। সমস্ত কিছুই স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজেদের নাম বাদ দিয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। যাঁদের নাম এখনও রয়েছে, তাঁদের নাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী তালিকায় থাকবে না।’’

Advertisement

আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ওই কর্মসূচি শুরু করা হবে। দলীয় সূত্রে খবর, ৪৫ দিনের ওই কর্মসূচিতে জেলার শীর্ষ নেতাদের প্রায় সকলকেই শামিল করা হবে। রাজ্য নেতৃত্ব একটি সমীক্ষার মধ্য দিয়ে কাকে কোন এলাকায় যেতে হবে, কোন কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাতে হবে, তা ঠিক করেছেন। সে সংক্রান্ত নথি নির্দিষ্ট নেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘দিদি কী ভাবে প্রত্যেক বাসিন্দার জন্য সুরক্ষা কবচ তৈরি করেছেন, তা আমরা তুলে ধরব। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাস, খাদ্য— সমস্ত প্রকল্পের কথাই বলব। ছাত্র থেকে কৃষক, প্রত্যেকের জন্যেই প্রকল্প চালু করেছেন দিদি। আর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ও অভিযোগ ‘দিদির দূত’ অ্যাপ্লিকেশনে নথিবদ্ধ করা হবে।’’

কোচবিহার জেলার একটি বড় অংশে তৃণমূলের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে সংগঠন তৈরি করছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘মানুষ আর তৃণমূলের কথা শুনতে চায় না। সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কৃতিত্ব তারা নেওয়ার চেষ্টা করছে। মানুষ জানে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement