—ফাইল চিত্র।
‘দিদিকে বলো’ চলছেই। তার মধ্যেই বুথে বুথে ঘুরছে প্রশান্ত কিশোরের টিম পিকে। ব্যাগে খাতা-কলম নিয়ে খুঁজে খুঁজে নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করছেন সেই দলের সদস্যেরা। নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করছেন তাঁদের। জেনে নিচ্ছেন এলাকার বিধায়কের সম্পর্কে তাঁদের মতামত। অবশ্যই শাসক দল তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কথাও থাকছে সমীক্ষায়।
কোচবিহারে এমনই তথ্য নথিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। সেই সঙ্গে পুরনো বা বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের খুঁজে বের করেও কথা বলছেন তাঁরা। দলীয় সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে কাজ করেছিল টিম পিকে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। এবারে সব জায়গাতেই একে একে আসরে নামছে তারা।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি চলছে, এটা বলতে পারি।” দলের কোচবিহার জেলার কার্য়করী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যার যা কাজ তারা সেটা করছে। আমরা আমাদের কাজ করছি।”
নতুন বছরেই পুরসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে। কোচবিহারে ছ’টি পুরসভায় নির্বাচন হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। তৃণমূল জমানার শুরু থেকেই কোচবিহার রাজ্যের শাসক দলের গড় হয়ে ওঠে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে হারে দুর্বল হয়ে পড়ে তৃণমূল। দল পর্যালোচনা করে হারের কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় তুলে নিয়ে আসে। তার মধ্যে একটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, টিম পিকে ময়দানে নেমে সেসব বিষয়ে আরও বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করছে। একটি বুথে দশজনকে বেছে নিচ্ছে তারা। তার মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মী যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সরকারি চাকরিজীবী, বেসরকারি সংস্থার কর্মী। কৃষক, বাস বা অটোচালক থেকে শুরু করে দিনমজুররাও রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলে তা নির্দিষ্ট পয়েন্টে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার দক্ষিণ, দিনহাটা, নাটাবাড়ি বিধানসভায় কাজ শুরু করেছে টিম। পুরসভাতেও একই ভাবে কাজ
করছে।
বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “টিম পিকে কেন, কোনও জাদুকাঠি দিয়েও এই তৃণমূলের আর কিছু করা সম্ভব না।”