প্রতীকী ছবি
লকডাউনের সময় বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বাড়ছে অনলাইন অপরাধ। তা মোকাবিলা করতে গিয়ে এক অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি শিলিগুড়ি পুলিশ। ‘টিকটক’ নামে একটি চিনা অ্যাপ কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। কয়েকজন ব্যবহারকারী আপত্তিকর ভিডিও, পোস্ট ওই অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করলেও কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য। শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে গত দু’মাসে এরকম চারটি অভিযোগ জমা পড়লেও সেগুলি নিয়ে প্রায় কিছু করতে না পারছে না সাইবার ক্রাইম থানার।
করোনা সংক্রমণের পর থেকে চিনের সামগ্রী থেকে যতটা দূরে থাকার চেষ্টা সর্বত্র। কিন্তু শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ। ওই জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন অপরাধ করলেও তথ্যের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে সূত্রের দাবি। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত দু’মাসে অন্তত চারটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতে মূলত একজনের ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে একটি মনগড়া ভয়েস ক্লিপ জুড়ে ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে।’’ ওই অভিযোগকারীদের দাবি, তাদের নকল ভয়েস ক্লিপ জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে ভিডিও। করোনা সংক্রমণের সময় এরকম কয়েকটি আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে অভিযোগকারীরা শিলিগুড়ি পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু পুলিশ কর্তাদের দাবি, ওই অ্যাপটিতে গেলে একটি ইউজার আইডি পাওয়া যাচ্ছে বটে, কিন্তু সেটা কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তা জানতে অ্যাপ বা সাইটের কাছেই তথ্য চাইতে হয় পুলিশকে। আগে অন্য কয়েকটি ঘটনায় হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা টুইট রের মতো কিছু সংস্থার কাছে তথ্য চেয়ে দেরিতে হলেও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু ‘টিকটক’ কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলেই অভিযোগ। গত দু’মাস থেকে কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বিস্তারিত তথ্য পুলিশ চেয়ে পায়নি। ফলে তদন্তের কাজ এগোচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন সাইবার বিভাগের এক অংশের আধিকারিকরা।
অ্যাপ ব্যবহারকারীর ছবি থেকে কেন চিহ্নিত করা যাচ্ছে না অপরাধীদের? শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘একজনের ছবি দিয়ে অন্য আরেকজন ওই অ্যাপে একাউন্ট খুলতে পারেন। তাই একমাত্র ইউজার আইডি থেকেই জানা সম্ভব, কোন মোবাইল বা কার মোবাইল থেকে ওই তথ্য আপলোড করা হয়েছিল।’’ কিন্তু সেই তথ্যই চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না, দাবি শিলিগুড়ি পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে ওই অ্যাপের মাধ্যমে কোনও অপরাধ হলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে ধন্দে শিলিগুড়ি পুলিশ।