ছাত্রীদের হস্টেলের গেটে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী। নিজস্ব চিত্র
আর জি কর-কাণ্ডের জেরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ছাত্রীদের হস্টেল ও সংলগ্ন এলাকা মিলিয়ে আরও ১৫টি নজর-ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ছাত্রীদের হস্টেলে কড়া নজরদারির জন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীও। এ ছাড়া, সক্রিয় করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অ্যান্টি র্যাগিং' কমিটিকেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘‘আর জি কর-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হস্টেলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ছাত্রীদের হস্টেলে সকলের গতিবিধির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন থেকে একশো মিটারের মধ্যে ছাত্রীদের হস্টেল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ওই হস্টেলে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি স্তরের ৬৭ জন ছাত্রী রয়েছেন। এতদিন ওই হস্টেলে ২৪ ঘণ্টায় প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর এক জন করে নিরাপত্তা রক্ষী দায়িত্বে থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে দু’জন করে মোট ছ’জন রক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া, শিক্ষক, শিক্ষিকা, সুপার-সহ কাউকেই ছাত্রীদের হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘ছাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এখন থেকে প্রতিদিন ছাত্রীদের হস্টেলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অ্যান্টি র্যাগিং' কমিটির সদস্যদের নজরদারি চালানো ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের হস্টেলের বাইরে ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় ১০৯টি নজর-ক্যামেরা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় আরও ১৫টি নজর-ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সর্বক্ষণ প্রতিটি নজর-ক্যামেরায় ধরা পড়া ‘ফুটেজ’-এর উপরে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হস্টেল-সহ সর্বত্র নজরদারির জন্য মোট নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রারের দাবি।