প্রতীকী ছবি।
করোনার সংক্রমণ নিয়ে শিলিগুড়ি শহরে আরও তিন জনের মৃত্যু হল। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরে লকডাউন শুরুর মুখে আরও তিন জনের মৃত্যু উদ্বেগ বাড়িয়েছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় ৭৯ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে বুধবার।
মৃতদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চার্চ রোডের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে অন্তত ১৬ দিন আগে জ্বর, কাশি নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে। সেখানে চিকিৎসকরা বলছিলেন রোগী ভাল আছে। দিন কয়েক শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এই রোগীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ারও কথা ছিল মঙ্গলবার। সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। করোনা জয়ী চিকিৎসক অনির্বাণ রায় প্লাজমা দিতে সেবকরোডের একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েও ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল এই চিকিৎসার জন্য যে প্লাজমা দেওয়া হবে তার প্রক্রিয়া এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে সেবক রোডের একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সরকারি ভাবে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে তা আসার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরিকাঠামোগত সমস্যায় অনুমোদন মেলেনি। তাতে আটকে পড়ে প্লাজমা থেরাপি প্রক্রিয়া। বুধবার সকালে ওই রোগী মারা যান।
এ দিন সকালে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে মারা যান ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তাঁকে মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ভর্তি করানো হয়েছিল সেখানে। মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডেরই শিবরামপল্লির এক বাসিন্দাকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান। উপসর্গ ছিল জানার পরেই লালারস পরীক্ষা হয়। বুধবার রিপোর্ট এলে জানা যায় তাঁর করোনা সংক্রমণ রয়েছে। হাসপাতালের ঠিকানায় তিনি হাকিমপাড়ার বাসিন্দা বলে লেখা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৬ জন। দার্জিলিং জেলায় এ দিন ৬৫ জনের সংক্রমণ বেড়েছে।