Threat Culture

‘হুমকির সংস্কৃতি’ মালদহেও, দাবি

বুধবার পোস্টার নজরে এসেছে কর্তৃপক্ষেরও। যদিও লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি বলে জানান মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এ বার ‘হুমকি সংস্কৃতির’ (থ্রেট কালচার) অভিযোগ উঠল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেও। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে মেডিক্যালের কয়েক জন শিক্ষক-চিকিৎসক, এক প্রশাসনিক আধিকারিক এবং কয়েক জন প্রাক্তনীর ছবি দেওয়া একটি পোস্টার (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ) সমাজ মাধ্যমে ছড়াতে হইচই পড়েছে হাসপাতালের অন্দরে।

Advertisement

বুধবার পোস্টার নজরে এসেছে কর্তৃপক্ষেরও। যদিও লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি বলে জানান মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন শিক্ষক-চিকিৎসক, প্রাক্তনীর নাম দিয়ে একটি পোস্টার সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিগুলির তলায় কিছু অভিযোগ রয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ‘হুমকি সংস্কৃতির’ কোনও লিখিত অভিযোগ মেলেনি।” রাজ্য স্বাস্থ্য-শিক্ষা, স্বাস্থ্য-প্রশাসনের অন্দরে প্রভাবশালী চিকিৎসক গোষ্ঠী ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিরুদ্ধে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ বজায় রাখার অভিযোগ ঘিরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সরগরম হতেই মালদহ মেডিক্যালেও তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন ও শিশু বিভাগের দুই চিকিৎসক, কয়েক জন প্রাক্তনী ও এক আধিকারিকের ছবি দিয়ে একটি পোস্টার (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, পরীক্ষার আগে শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘সাপ্লিমেন্টারি’ পরীক্ষা দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। কিছু প্রাক্তনীর মেডিক্যালের হস্টেলগুলিতে অবাধ যাতায়াত রয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বছর দুয়েক ধরে এই ‘সংস্কৃতি’ চলছে বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। পোস্টারে নাম থাকা মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক বলেন, “মেডিক্যালে প্রশাসনিক-পদে থাকার আগে শিক্ষক ছিলাম। দীর্ঘ বছর ছাত্রদের সঙ্গে কাজ করছি। ছাত্র, জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্টারের ছবি দেখেছি। কেন এমন করা হল, বুঝতে পারছি না!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement