উদ্ধার হওয়া শিশু। নিজস্ব চিত্র
শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে দু’সপ্তাহের শিশুসন্তানকে তাঁর কোলে তুলে দিয়েছিলেন ট্রেনের সহযাত্রী এক তরুণী। কিন্তু তরুণী আর ফিরে আসেননি বলে দাবি করেছেন ভালুকাবাজারের হেলা দাস বলে এক মহিলা। চাঁচল স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়ছে, বিহারের কিসানগঞ্জ হাসপাতাল থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ওই শিশুটিকে চুরি করা হয়েছিল। শিশুর মায়ের নাম বিবি ফুলেরা। তাঁদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কানকিতে।
শিশুটির জামার পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছে। সেই চিরকুটে লেখা ছিল, লায়ন্স ক্লাব থেকে তাকে চুরি করা হয়েছে, তার বাড়ি কানকিতে। সেই মতো অনুসন্ধান শুরু করে চাইল্ড লাইন ও পুলিশ। তারা জানতে পারে, কিসানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি শিশু চুরি হয়েছে। সেই শিশুটির মা কানকির বাসিন্দা।
এই চিরকুট থেকেই মেলে খোঁজ।নিজস্ব চিত্র
পুলিশের অনুমান, যে তরুণী ওই শিশুকে চুরি করেছিল, সেই মমতা বশত ওর পকেটে এই চিরকুটটা লিখে রেখে যায়। যাতে বাচ্চাটি যে চুরি হয়েছে এবং তার বাড়ি যে কানকিতে, সে তথ্যটা থেকে যায়। চিরকুটটা লেখা হয়েছে রোমান হরফে হিন্দি ভাষায়। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি-মালদহ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে শিলিগুড়ি থেকে ফিরছিলেন হেলাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাটি নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখি চিরকুটে লেখা, লায়ন্স ক্লাব থেকে এই বাচ্চাটিকে চুরি করা হয়েছে। কেউ পেলে তাকে লায়ন্স ক্লাবে জমা করবেন।’’ পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে চাইল্ড লাইনের সহায়তায় ওই শিশুর ঠাঁই আপাতত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল।
হেলাদেবী জানান, আলুয়াবাড়ির আগের কোনও স্টেশনে শিশুটিকে নিয়ে পাশে এসে বসেন এক তরুণী। ডালখোলায় নামবেন বলে জানান। কিন্তু কিছু ক্ষণ বাদেই তার মোবাইলে ঘনঘন ফোন আসতে থাকে। তারপরেই শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে শিশুটিকে হেলাদেবীকে ধরার জন্য অনুরোধ করেন তরুণী। কিন্তু তরুণীর আর দেখা মেলেনি। শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরেই লাগোয়া ভালুকা ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান তিনি।