শুভেচ্ছা: দলীয় প্রার্থীকে খাদা পরিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী। নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ের মনোনয়ন জমার শেষ দিন, বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণই থাকল৷ বিনা লড়াইয়ে কিছু আসনে জেতার দাবি করল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। বিকেলের পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনোনয়নগুলি খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এ দিন সন্ধ্যায় পাহাড়ের শাসক, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে দার্জিলিং মহকুমা ১০টি পঞ্চায়েত আসনে তারা বিনা লড়াইয়ে জিতেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ দিন মিরিকে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দাখিল করেছে তৃণমূল। পাহাড়ের মিরিকেই তৃণমূলের উপস্থিতি কার্যত অন্য এলাকার থেকে বেশি। তবে গোর্খা যৌথ মঞ্চের বিজেপি, হামরো পার্টি এবং জিএনএলএফের তরফেও মনোনয়ন পড়েছে প্রচুর। রাত অবধি পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, বিরোধীরা বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র কেশবরাজ পোখরেলের দাবি, ‘‘সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি, তাকভর মিলিয়ে ১০টি আসনে আমরা জিতেছি। সরকারি ভাবে জয় ঘোষণা প্রক্রিয়াগত ভাবে করা হবে। এটা আমাদের পঞ্চায়েত জয়ের সূচনা। অনেকে মিলে জোট না, আমরা মানুষের সঙ্গে জনবন্ধন করেছি।’’ যা শোনার পরে বিরোধীদের তরফে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড পাল্টা সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দুর্নীতি তো আছেই। দাদাগিরি, গুন্ডাগিরি করে ভোটে জিতবে বলে যাঁরা ভাবছেন তাঁরা ভুল ভাবছেন। ১০-২০টা আসনে জিতে পঞ্চায়েত ভোটে ‘জিতেছি’ ভাবলে মূর্খামি হবে। এ বার জনতার রাজ কায়েম হবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছ’শো আসন। একই সংখ্যক আসন কালিম্পং জেলার দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতেও। মনোনয়ন দাখিলের পরে রাত অবধি তা প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। তবে দুই জেলাতেই প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাই সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে। আসনের থেকেও প্রার্থী বেশি দিয়েছে পাহাড়ের শাসক দল। তার পরেই প্রার্থী সংখ্যার বিচারে বিজেপি রয়েছে।