প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতার জেরে চিনের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর আমদানি বন্ধ হয়ে গেল। গত এক মাস ধরে সে-দেশ থেকে কোনও জিনিসই উত্তরবঙ্গে ঢুকছে না। শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত কোনও সামগ্রী উত্তরবঙ্গে পাঠানো হবে না বলে রফতানিকারী বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আরও ছ’মাস এই পরিস্থিতি চলবে। সেক্ষেত্রে এই ব্যবসায় বড়সড় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গের বাজারের একটি অংশ পুরোপুরি চিনের উপরে নির্ভরশীল। চিন থেকে খেলনা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে নানা সামগ্রী রফতানি করা হয়। এ ছাড়া চকলেট, আপেলও রফতানি করা হয় এখানে। চোরাপথেও প্রচুর চিনা দ্রব্য উত্তরবঙ্গের বাজারে ঢোকে। ওই বাজারে জিনিসপত্রের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে ওই বাজার পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। ব্যবসায়ীরা জানান, চিন থেকে আনা
জিনিসপত্র বড় বাজারগুলির পাশাপাশি ছোট বাজারেও বিক্রি হয়। মাসখানেক থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। চিনে শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দেয়। চিনের ব্যবসায়ীরাও ওই আতঙ্কে ঘরবন্দি। সেই কারণেই জিনিসপত্র আসাও কমতে শুরু করে।
ব্যবসায়ীরাই জানান, চিনা ক্যালেন্ডার মেনে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন বছরের জন্য চিনে সরকারি ছুটি থাকে। এই সময় আমদানি-রফতানির কাজও বন্ধ থাকে। বন্ধ থাকে কারখানাগুলোও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে আপাতত ২ মার্চ পর্যন্ত আমদানি ও রফতানি বন্ধ হবে বলে চিনের ব্যবসায়ীরাই শিলিগুড়ির আমদানিকারকদের তা জানিয়েছেন। তবে রোগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে সেই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা।
শিলিগুড়ির চিনা বাজার গোল্ডেন প্লাজা মার্কেট কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক সত্যনারায়ণ গোয়েল বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের জেরে আপাতত কিছুদিন আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। সেই রকমই জানিয়েছেন চিনের ব্যবসায়ীরা। তবে সেই সময় সীমা বাড়লে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’’
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চারদিকে। চিনের সঙ্গে বর্তমানে ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। যার ফলে ব্যবসায় বড় রকমের ক্ষতি হবে। আগামী ছয় মাস ব্যবসা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”