রাজু বিস্তাু। ছবি সংগৃহীত
জিটিএ নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তা আপাতত স্থগিত রাখা হল। শনিবার সেই বৈঠক স্থগিত হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার পরে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘আমাদের দল পাহাড়ের দাবিগুলি সম্পর্কে আন্তরিক। স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং ১১টি জনজাতিকে তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে কাজ চলছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিভিন্ন মহল থেকে বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমার পাহাড়বাসীর কাছে আবেদন, এ সবে কান দেবেন না। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা নিজের বুথেও ভোটে জিততে পারেন না।’’
সাংসদ দলের হয়ে ময়দানে থাকলেও পাহাড়ে বিজেপি নিয়ে নানা প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং বলেছেন, ‘‘বিজেপির আসল চরিত্র বার হয়ে পড়েছে। আমরা বলছি তো বিজেপি আলাদা রাজ্যের বিষয়টিকে সামনে রেখে একই দিনে একই সময়ে এবং একই জায়গায় বৈঠক ডেকে দেখাক। আমরা তাতে যোগ দেব। তা ওরা পারবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত ১১ বছর ধরে মিথ্যা আর ভাঁওতাবাজির আশ্রয় নিয়ে পাহাড়ে চলেছে বিজেপি।’’
৭ অগস্টের বৈঠক স্থগিত করা হলেও কেন করা হল, তা নিয়ে মন্ত্রক বা দলের তরফে পরিষ্কার করে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সাংসদ শুধু বলেছেন, ‘‘আমাদের দল সংকল্পপত্রে যা বলেছে, তা করে দেখাবে।’’ তবে কবে আবার কী বিষয় নিয়ে বৈঠক হতে পারে, তা নিয়ে সাংসদ কিছু বলতে চাননি।
পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, এ বার পাহাড়বাসীর বা পাহাড়ের দলগুলির মনোভাব কেন্দ্রীয় সরকার বুঝে গিয়েছে। অতীতের মতো বৈঠক ডাকলেই লোকজন আর দিল্লি ঘুরে এসে পাহাড়ে নানা কিছু প্রচারের পক্ষে নেই। তাই কী ভাবে, কোন বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকা যায়, তা নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রীর বক্তব্য, ‘‘আগামীতে পাহাড়ের অবস্থার রাজনৈতিক পর্যালোচনা, দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্যা বা পাহাড়ের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার কথা বলে বৈঠক ডাকা হতে পারে। বিজেপি সরকার ঠিক কোন পথে এগোবে, তা নিশ্চয়ই আগামী কিছু দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’