নোটের চোট

বহির্বাণিজ্য তলানিতে হিলির স্থলবন্দরে

মাত্র ক’দিন আগেও গমগম করত হিলির আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর। রোজ দু’শো থেকে আড়াইশো পণ্যভর্তি ট্রাকের ভিড় থাকত। ট্রাক থেকে মাল তোলা নামানোর কাজে শ্রমিকদের ব্যস্ততা দেখা যেত। আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে শুল্ক দফতর, বিএসএফের তৎপরতা—এখন সেই সরগরমের ছবিটা উধাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিলি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৩
Share:

মাত্র ক’দিন আগেও গমগম করত হিলির আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর। রোজ দু’শো থেকে আড়াইশো পণ্যভর্তি ট্রাকের ভিড় থাকত। ট্রাক থেকে মাল তোলা নামানোর কাজে শ্রমিকদের ব্যস্ততা দেখা যেত। আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে শুল্ক দফতর, বিএসএফের তৎপরতা—এখন সেই সরগরমের ছবিটা উধাও। নোট বাতিলের ধাক্কায় ভারত-বাংলাদেশের দু’দিকে রফতানি ও আমদানি বাণিজ্যে ধস নামায় চরম বিপাকে পড়েছেন অন্তত ৩০০ ব্যবসায়ী।

Advertisement

হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট সমিতির সম্পাদক সঞ্জিত মজুমদার জানান, এখন ট্রাকের সংখ্যা কমে গড়ে ৩০টি দাঁড়িয়েছে। পাথর এবং পেঁয়াজ যাচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়ে আসা অশোধিত রাইসওয়েল এবং চিটে গুড়ের ট্রাক এ পারে আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা চলে প্রধানত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অনলাইনে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের টাকা ডলারে এসে এপারের ব্যাঙ্কে জমা হয়। ফলে পণ্যসামগ্রী লেনদেনে আর্থিক সমস্যা না হলেও নগদের অভাবে ট্রাকের ভাড়া মেটাতে না পারায় ব্যবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছে।

সঞ্জিতবাবুর কথায়, ‘‘নোট বাতিলের জেরে গত এক মাসে হিলি দিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বহির্বাণিজ্যের ক্ষতি হয়েছে। সবই ডলারে। বর্তমানে ব্যবসার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কোটিতে। এতে সরকারের মোটা টাকা রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে পাথর নিয়ে আসা একটি ট্রাকের ভাড়াই ৪৫-৫০ হাজার টাকার মতো। ভাড়ার টাকা ট্রাক চালকদের নগদে দিতে হয়। পণ্য তোলা-নামানোর জন্য স্থানীয় শ্রমিকদের মজুরি বাবদও প্রয়োজন নগদ টাকার। রোজ যখন প্রয়োজন লক্ষাধিক টাকা। সেখানে এখন ব্যাঙ্ক থেকে মিলছে সপ্তাহে বড়জোর ৩০ হাজার টাকা। ব্যবসা চলবে কী করে? চরম সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন বহির্বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল হিলি এলাকার অন্তত ২৫০টি শ্রমিক পরিবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement