Hollong Bungalow

পুরনো ধাঁচে বাংলো হোক হলংয়ে, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

ঘটনার দিন রাত ৯টা নাগাদ আগুন লেগে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই জনপ্রিয় বনবাংলোটি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ০৮:৩৮
Share:

ভষ্মীভূত হলংয়ের বনবাংলো। —ফাইল চিত্র।

হলংয়ে ঐতিহ্যবাহী বনবাংলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরে, এ বার ওই জায়গাতেই একই ধাঁচে আবার নতুন করে একটি বনবাংলো তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চাইল উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন। সোমবার উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সে চিঠিতেই বনবাংলো পুনর্নির্মাণের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার সংগঠনের প্রতিনিধিরা ডুয়ার্সে যান। পরে, তাঁরা আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা এবং স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা দাবি জানান, হলং বনবাংলো উত্তরবঙ্গের অন্যতম ‘হেরিটেজ’ বাংলো ছিল। ১৮ জুন বিধ্বংসী আগুনে তা পুড়ে গিয়েছে। পুরনো নির্মাণশৈলি, নকশার আদলেই তা তৈরির আবেদন জানানো হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার দিন রাত ৯টা নাগাদ আগুন লেগে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই জনপ্রিয় বনবাংলোটি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যটন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘হলং বাংলোর সঙ্গে বহু স্মৃতি, ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। আগুনে ঝলসে যাওয়া বাংলোটি নতুন করে তৈরি হবে ঠিকই। তবে তাতে পুরনো আদল, নকশা বা চেহারা যাতে একই থাকে তা সকলেই চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা সে দাবিই জানিয়েছি।’’

কয়েক মাস পরেই পুজোর পর্যটন মরসুম শুরু। তবে এ বার আর পুজোর আগে হলং নতুন বাংলো পাবে না বলেই ধরা নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এর জেরে, হলংকে ঘিরে পর্যটনের কিছুটা ক্ষতি হবে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, জলদাপাড়ায় আসা মানেই হলং বাংলোর কথা প্রথমে মনে আসে। অনেক উৎসাহী পর্যটক হলং বাংলোয় না থাকলেও, একটি বার দেখতেও আসেন কৌতূহল মেটাতে। তাই দ্রুত নতুন বাংলো তৈরির কাজ শুরু করা জরুরি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পর্যটন সংগঠনটির তরফে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইতিহাসবিদ, পরিবেশবিদ, ন্যাচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণ নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাস্তুকার-সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রশাসনিক কর্তাদের রাখা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। বন দফতরের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে পুরোটা দেখা হচ্ছে। দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তও হতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement