দাবি: মন্ত্রীর বাড়ির সামনে যুবকদের ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
চাকরির দাবিতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থানে বসল ঊর্দু ভাষায় টেট উত্তীর্ণেরা। রবিবার সকাল থেকে অবস্থানে বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, টেট উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান সরকার তাঁদের নিয়োগ নিয়ে গড়িমসি করছে। চাকরির দাবিতে এ দিন মন্ত্রীর ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে অবস্থান চলবে বলে জানান তাঁরা। যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এর পিছনে কাটমানির অভিযোগ তুলেছেন।
এর আগেও চাকরির দাবিতে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। এমনকি, মন্ত্রী বাড়িতে গিয়েও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবার সকাল সকাল শ্রম প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির বাড়ির সামনে যান টেট উত্তীর্ণ বেশ কিছু যুবক যুবতী। তবে তাঁরা কোনও আশ্বাস না পেয়ে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থানে বসেন। তাঁদের দাবি, মন্ত্রী কোনও সমাধান না করেই বাড়িতে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়েও তাঁরা চাকরি পাননি এখনও। সেইসময় ১০৭টি শূন্য পদ থাকলেও প্রায় ৭২ জন কাজে যোগ দেন। ২০১৬ সালে হাইকোর্টে মামলা করে তাঁদের পক্ষে রায় হয়। এমনকি, তাঁদের আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়। সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিলেও আজও নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীরা আরও জানান, ২০১৪ সালে উত্তীর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে না। এর আগে মন্ত্রী রব্বানির সঙ্গে দেখা করে তাঁরা জানতে পারেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। অথচ এখনও সেই নিয়োগ হয়নি।
যদিও বিরোধীদের দাবি, চাকরির নাম করে তাঁদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। তবে কাটমানি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চাকরির আবেদনকারীরা। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে। শুনেছি ওঁরা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সরকার বেকার যুবকদের নিয়ে খেলা করছে।’’ আবার সিপিএমের ইসলামপুর ১ নম্বর এলাকায় কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, ‘‘এই সরকার স্বচ্ছ নিয়োগ করে না। তবে বেকার যুবক-যুবতীদের রুজি রুটি নিয়ে খেলা ঠিক নয়। যদিও তৃণমূল নেতা তথা প্রতিমন্ত্রী রব্বানি বলেন, ‘‘ওঁরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। রায়ে তাঁদের পক্ষে রয়েছে। এই দিনের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।’’