নিম্নচাপের টানে গরম

গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি চললেও পাহাড়ের কোলে সিকিমের তাপমাত্রাও এ দিন ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকেও আপাতত স্বস্তির কোনও স্পষ্ট আশ্বাস মেলেনি।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

দক্ষিণের নিম্নচাপের টানে মেঘ সরেছে। তাতেই পারদ চড়ছে উত্তরবঙ্গে। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়। অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৮ ডিগ্রি। এ দিন ভোর থেকেই চড়া রোদ ছিল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি দুই শহরেই।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি চললেও পাহাড়ের কোলে সিকিমের তাপমাত্রাও এ দিন ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকেও আপাতত স্বস্তির কোনও স্পষ্ট আশ্বাস মেলেনি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে উত্তরের দিকে এগোতে শুরু করবে। তেমন হলে আজ সোমবার বা আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

নিম্নচাপের টান মেঘ যেমন উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে, তেমনই শুষে নিয়েছে বাতাসের জলীয় বাষ্পও। যার ফলে কমে এসেছে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। অনেকসময়ে কোনও নিম্নচাপ তৈরি না হলেও বাতাসের জলীয় বাস্প স্থানীয় ভাবে বৃষ্টি আনতে পারে। সে পরিস্থিতিও নেই। চড়া রোদ দেখে প্রাতঃভ্রমণকারীদেরও অনেকেই ঘর ছেড়ে বের হননি শিলিগুড়িতে। হাকিমপাড়ার বাসিন্দা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছাতা নিয়েও প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া যায়। তবে আজকে রোদের যা তেজ দেখলাম তাতে বাইরে বের হতে ভরসা পাইনি।’’

Advertisement

সকাল বেলার রোদে মধ্য দুপুরের তেজ থাকায় বিপর্যস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির স্বাভাবিক জীবনযাপনও। এ দিন বিধানমার্কেট ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। মহাবীরস্থান অথবা সুভাষপল্লির বাজারে প্রতি রবিবার ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিত্যসঙ্গী হলেও এ দিন ভিড় ছিল অনেকটাই কম। ক্ষুদিরামপল্লি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জয় শাহের কথায়, ‘‘গরমের কারণেই লোকেরা রাস্তায় বের হতে চাইছে না বলে মনে হচ্ছে।’’ হাঁকডাক কম ছিল জলপাইগুড়ির দিনবাজারেও।

রাজ্যের অন্যপ্রান্তে গরম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও উত্তরের জেলাগুলিতে আবহাওয়া ছিল আরামদায়ক। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নিম্নচাপ। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেই নিম্নচাপ টেনে নিয়েছে উত্তরবঙ্গের আকাশে জমে থাকা মেঘ। আকাশ মেঘমুক্ত হওয়ায় রোদের তেজ বেড়ে যাচ্ছে। আর্দ্রতা কমে যাওয়াতে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নিম্নচাপটি সোমবার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। তারপরে ধীরে ধীরে উত্তরের দিকে এগোতে শুরু করবে। তখন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement