Teesta River Flood

সিকিমে ধ্বংসলীলার পর তিস্তার নজরে কি এ বার জলপাইগুড়ি? নদীতে ক্রমশ বাড়ছে জলস্তর

স্লুইস গেট খোলার ফলে যে অতিরিক্ত জল বেরোচ্ছে, তা কি তিস্তা বুকে করে বয়ে নিয়ে যাবে, না কি তা দু’কূল ছাপিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জলপাইগুড়িকে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪৩
Share:

বুধবার সকালে গজলডোবা ব্যারাজের খণ্ডচিত্র। — নিজস্ব চিত্র।

পাহাড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়ে এ বার কি সমতলকে ভাসাবে তিস্তা? বুধবার কাকভোরে উত্তর সিকিমের ছবি সেই কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মন্ত্রী এবং আমলাদের অকুস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাহাড় থেকে বিপুল জলরাশি বয়ে তিস্তা তা এনে ফেলবে জলপাইগুড়ি জেলায়। ফলে নদী ছাপিয়ে বন্যায় ডোবার আশঙ্কা রয়েছে জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক জেলার।

Advertisement

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জল হয়ে গেলে বাঁধের গেট (স্লুইস গেট) খুলে দিতে হয়। সমতলে তিস্তার উপর রয়েছে গজলডোবা বাঁধ (ব্যারাজ)। সেখানে অতিরিক্ত জল বার করে দিতে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিটি স্লুইস গেটই। কিন্তু গেট খোলার ফলে যে অতিরিক্ত জল বেরোচ্ছে, তা কি তিস্তা বুকে করে বয়ে নিয়ে যাবে, না কি তা দু’কূল ছাপিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জলপাইগুড়িকে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারাও।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১০টায় তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকাল ১০টায় পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিস্তা ব্যারেজ থেকে তখনও পর্যন্ত জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউসেক। আগামীতে জলস্তর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কী হবে, তা ভেবেই কেঁপে উঠছেন জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জলপাইগুড়ির দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত জলস্তরের উপরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। নদীর দু’ধারে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকে প্রচার চলছে। বলা হচ্ছে, দ্রুত নদীর ধার ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসতে। পুলিশ নেমেছে তিস্তার দুই ধার বরাবর। পুলিশকর্মীরা হুইসিল বাজিয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন। নদীর ধার থেকে সরে আসার আবেদন করা হচ্ছে।

Advertisement

সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিস্তায় জল বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে জলপাইগুড়ি শহরে। জলস্তর বৃদ্ধি পায় শহরের একেবারে মাঝবরাবর বয়ে যাওয়া করলা নদীর। তিস্তায় বিপুল পরিমাণ জল বাড়ার পরিস্থিতি তাই উদ্বেগে রেখেছে শহরবাসীকে। এই উদ্বেগ ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি জলপাইগুড়ির পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement