আহত সহিদুল হক। নিজস্ব চিত্র।
দোকানের সামনে টোটো কেন দাঁড় করানো হয়েছে, তা নিয়ে বচসা শুরু। শেষমেশ তা গড়ায় হাতাহাতিতে। শিলিগুড়ি থানার সামনেই টোটোচালকের হাতে বেধড়ক মার খেল এক নাবালক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই নাবালকের পরিবারের অভিযোগ, ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে শিলিগুড়ি থানার সামনে মহাবীরস্থান এলাকায় এক টোটোচালকের সঙ্গে বচসা বাধে এক নাবালকের। শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা আইদুল রহমানের কাপড়ের দোকান রয়েছে মহাবীরস্থান এলাকায়। রাতের দিকে দোকানে যায় আইদুলের নাতি সহিদুল হক। অভিযোগ, তখন দোকানের সামনে একটি টোটো এসে দাঁড়ায়। সহিদুল সেই চালককে দোকানের সামনে থেকে টোটো সরাতে বললে শুরু হয় বচসা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই বচসার চিত্র। অভিযোগ, ১৪ বছরের সহিদুলকে বেধড়ক মারধর করে বেশ কয়েকজন মিলে। মাটিতে ফেলে তিন থেকে চার জন সহিদুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ এলাকাব বাসিন্দা-সহ অন্য দোকানিরা তাঁদের সরিয়ে দিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সাহিদুল। তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিলিগুড়ি থানায় এসে ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
সহিদুলের দাদু আইদুল রহমান বলেন, “দোকানের সামনে টোটো থামলে নাতি তাঁকে টোটো সরাতে বলে। এর পরেই টোটোচালক এসে মারধর শুরু করেন। হাতাহাতির পাশাপাশি ছুরি চালানোর ঘটনা ঘটে৷ ঘাড়ে, পেটে ও পায়ে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
অন্য দিকে আহত সাহিদুল হক জানান, “টোটোতে চালক-সহ আরও দু’জন ছেলে ছিল। টোটোচালকের সঙ্গে তাঁরাও এসে মারধর শুরু করেন। মাটিতে ফেলে মারার সময় তাঁদেরই মধ্যে একজন ছুরি দিয়ে আঘাত করে আমাকে।”
যদিও শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “ছুরি নয়, টোটোর চাবি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যে মেরেছে সে-ও নাবালক। অভিযুক্ত ধরা পড়েছে৷”