—ফাইল চিত্র
শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিতেই মালদহে সক্রিয় 'টিম শুভেন্দু'। সূত্রের খবর, টিম শুভেন্দুর লোকজন তথা অনুগামীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পুরসভার কাউন্সিলর এমনকি দলীয় নেতাদের সঙ্গেও দফায় দফায় গোপন বৈঠক শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, এ দিন শুভেন্দু অনুগামী এক নেতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন পুরাতন মালদহ পুরসভার তিন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর। এ ছাড়া ইংরেজবাজার শহরেরও চার জন কাউন্সিলর বৈঠকের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন বলে খবর। এ দিকে, শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ফ্লেক্স তৈরিরও কাজ চলছে। সূত্রে খবর, বেশির ভাগ ফ্লেক্সই করা হচ্ছে গেরুয়া রঙের। দু-একদিনের মধ্যেই সেই ফ্লেক্স জেলাজুড়ে লাগানো হবে বলে অনুগামীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুভেন্দু অনুগামীরা গত দু'দিন ধরে দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিলিও শুরু করেছেন জেলাজুড়ে। এ দিকে, দলের কোন নেতা-কর্মী বা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা তলে তলে শুভেন্দু অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তা নিয়ে রীতিমতো নজরদারি শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তাঁদের দাবি, মালদহ জেলার দলীয় নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকছেন।
তবে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী এক নেতার বাড়িতে এ দিন ইংরেজবাজার, রতুয়া ১ ও ২, কালিয়াচক ২ ও মানিকচক ব্লকের বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি পুরাতন মালদহ পুরসভার তিন জন কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর টিম শুভেন্দুর এক নেতার সঙ্গে গোপন ডেরায় বৈঠক করেন। টিম শুভেন্দু সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁদের ধারণা যে শুভেন্দু সম্ভবত বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন এবং সেই সূত্রেই বেশির ভাগ ফ্লেক্সের রং করা হচ্ছে গেরুয়া।
এই জেলায় শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত নেতা কাজল গোস্বামী এ দিন বলেন, "আমরা দাদার সঙ্গে আছি। তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী, পঞ্চায়েত ও পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শুভেন্দুদা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিলেই মালদহ জেলাতেও তৃণমূলের অন্দরে ভাঙন শুরু হয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, "রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমরা শুভেন্দু অনুগামীরা অরাজনৈতিক ভাবেও মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।"
এ দিকে শুভেন্দু অনুগামীদের আমল দিতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লেও মালদহে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। দলনেত্রীর সঙ্গেই সকলে আছেন। তবে এই জেলায় দলের কেউ অন্য কোথাও যোগাযোগ করছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে।"